"নিপাতনে সিদ্ধ" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: সংবাদ সম্মেলনে দুই বন্ধু দাবি করে, পাবনার এক জমিদারের মহামূল্যবান গুপ্তধনের সন্ধান জানে ওরা। তারপর পুলিশ আর মাফিয়াদের খপ্পরে ঘটনা-দুর্ঘটনায় জীবন থেকে পালিয়ে বেড়াতে হয় দুইবন্ধুকে। ঝিরি মেয়েটার মস্তিষ্ক বেদখল হয়ে যায় হঠাৎ দেখা এক ছেলের দাপটে হাসির জোয়ারে। সেই ছেলের সাথে দেখা হবে, ভালােবাসা হবে, এমন আশায় বদলাতে থাকে জীবনের বাঁক। এক সময় মনে হয়। মরুভূমিতে হারিয়ে ফেলা সরষেদানা খুঁজে জীবন শেষ করছে মেয়েটা। ক্রসফায়ারের আসামীর মুখে জীবনানন্দের কবিতা শুনে আসামীকে ছেড়ে দিয়েছিলেন ওসি মামুন। যার ভেতর এত উৎসাহে জীবনানন্দের বাস, তার মৃত্যু মামুনের বুলেটে হতে পারে না। কপালে জোটে অপমানকর ওএসডি জীবন। অথচ ওসি মামুন গাঙচিলের মতাে উড়ে বেড়ানাের জীবন চেয়েছিলেন। হাশেম মােল্লা এখন বৃদ্ধ। এক সময় যুবক ছিলেন। নব্বইয়ের হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার সময়ে কাজ করতেন। হিন্দু বাড়িতে। মনিবের স্ত্রী কাকলীকে ভালােবেসে ছিলেন। কাকলীও ভালােবেসেছিল হাশেম মােল্লাকে। কাকলী হাশেম মােল্লাকে ঘর; হাশেম মােল্লা কাকলী কে স্বস্তি দিতে চেয়েছিলেন। তাদের জীবনে নেমে এলাে ভয়ংকর সন্ধ্যা। দুর্বিষহ, ফ্যাকাসে ‘নিপাতনে। সিদ্ধ’ জীবন। আপন করতে পারেননি অথচ যাপন করছেন এমন জীবনের আখ্যান।
মানুষ যেমন মরণশীল; পরিচয় তেমন পরিবর্তনশীল! পরিবর্তনশীল পরিচয় দিয়েই-বা কী হবে? তারচেয়ে বরং ‘অসুখের নাম তুমি’, ‘চুড়ি অথবা চেয়ারের গল্প’, ‘নিপাতনে সিদ্ধ’ ও ‘বিষাদিতা’ই হোক আমার পরিচয়।