জন্ম: কবি এম. এ. মান্নান হাওলাদার পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলাধীন চাড়াখালী গ্রামে ১৯৫৮ সালের ০৩ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। পিতা- মরহুম আবুল হাসেম হাওলাদার। মাতা- মরহুমা মালেকা পারভীন। পাঁচ ভাই ও চার বোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। ব্যক্তিগত জীবন: সহধর্মীনি সায়েলা পারভীন শিপু। তিন সন্তান রাফসান মান্নান, শাতিল এহসান এবং তিয়াসা মান্নান মিঠি। পড়ালেখা: ১৯৭৩ সালে এসএসসি ইন্দুরকানীর মেহেউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে। ১৯৭৫ সালে এইচএসসি সরকারি পিরোজপুর এইচএস সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে। বিএ অনার্স ও এমএ ডিগ্রি লাভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগ থেকে। পেশাগত জীবন: সরকারি চাকরি। প্রথম কর্মস্হল ঐতিহ্যবাহী চৌমুহনী সরকারি সালেহ আহমেদ কলেজ, নোয়াখালী। বদলিকৃত কর্মস্হল সরকারি হরগঙ্গা কলেজ। পদোন্নতি পেয়ে সরকারি চরভদ্রাসন কলেজ। ডেপুটেশনে সহকারি পরিচালক, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা অধিদপ্তর, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। পদোন্নতি পেয়ে বিভাগীয় চেয়ারম্যান, দর্শন বিভাগ, সরকারি দেবেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। ডেপুটেশনে কলেজ ইন্সপেক্টর, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডার পরিবর্তন করে উপ-সচিব হন। পোস্টিং সদস্য, শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরিচালক , প্রশিক্ষণ বিভাগ, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। সচিব (ভারপ্রাপ্ত) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। প্রকল্প পরিচালক, পিএলসিই এইচডি, গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। যুগ্ম সচিব (ডিউটি পোস্ট), এলজিআরডি মন্ত্রণালয়। ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এম ডি) মিল্কভিটা, আরডিসিডি, এলজিআরডি মন্ত্রণালয়। অতিরিক্ত সচিব, (এসআইডি) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। সাহিত্যচর্চা: শিল্প-সাহিত্য, সংগীত ও নাটকের প্রতি অনুরাগ স্কুল জীবন থেকেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে এর স্ফুরণ ঘটে। ১৯৮১ ও ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (স্যারএ এফ রহমান হল) সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় পরপর একক চ্যাম্পিয়ন হন। একাশি সনে ডাকসু আয়োজিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় সব হলের সব প্রতিযোগীর মধ্যে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হন। স্বরচিত কবিতায় দ্বিতীয় স্হান লাভ করেন। বিভিন্ন ম্যাগাজিনে বেশ কিছু ছোট গল্প লিখেছেন তিনি যেমন: "হেরে যাওয়ার ব্যথা নিয়ে", "ঝরে যাওয়া পলাশ", "কেঁদে যায় মন" এবং কী যেন? কোন এক অজানা কারণে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন অভিমানে।