"নিষিদ্ধ দুপুর" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: দীর্ঘদিন পর ছাদের কার্নিশে বসে মুগ্ধ নয়নে ভােরের আকাশ দেখছে তিতলি। সূর্য নিজের আগমনের বার্তা জানাতে আকাশে ছড়িয়ে দিয়েছে লাল-গােলাপিবেগুনি রঙের আভা। বেশিক্ষণ সে আভার দিকে তাকিয়ে থাকলে কেমন যেন একটা আবেশ এসে মানুষকে ঘিরে ধরে, কিছু সময়ের জন্য পার্থিব জগতটিকেও মনে হয় অলৌকিক এক শক্তির উৎস। তিতলির বুকের মাঝে ফাঁকা ফাঁকা ঠেকে। এই অপূর্ব দৃশ্যটি দেখার জন্য সৌরভ তার পাশে নেই। সােমা ক্লান্তমুখে হাসপাতালের মন খারাপ করা বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। আইসিইউতে চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকা সৌরভের দুশ্চিন্তায় তার ভেতরে বয়ে যাচ্ছে ঝড়। সৌরভের সাথে ঘটে যাওয়া অঘটনটা কী নিছক দুর্ঘটনা নাকি তিতলি কর্তৃক খুনের অপচেষ্টা? সারা রাত্রি জাগরণের ছাপ মুখে নিয়ে দূর্বা বিরক্ত মুখে সূর্যোদয় দেখে। তার তিলে তিলে সাজানাে বাঁধনছাড়া জীবন সৌরভ নামের বেড়িতে বাঁধতে প্রকৃতি যেন বদ্ধপরিকর। যতই সে বেড়ি কাটতে চায়, ততই শক্ত হয়ে তা চেপে বসে। তিতলি, সােমা, দূর্বা - তিনজন সম্পূর্ণ ভিন্ন বয়সী আর চরিত্রের নারীকে একই সুতােয় বেঁধে রাখে তেইশ বছরের দুরন্ত তরুণ সৌরভ। সুতাে ছেড়ার চেষ্টারত তিন নারী মাকড়শার জালে বন্দি পােকার মত ছটফট করে। যে প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য সবাই তীব্র উত্তেজনায় অপেক্ষা করছে, তা তারা মেনে নিতে পারবে তাে