"পরকীয়া" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ শর্মি ভৌমিকের উপন্যাস ‘পরকীয়া’ এ নামকরণেই আচমকা ত্রিভুজ প্রেমের গন্ধ মেলে। এ উপন্যাসটি বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে লেখা। 'পরকীয়া’ উপন্যাসের পটভূমি অবহেলিত ও অধিকারবঞ্চিত এক নারীর জীবনগাঁথা। প্রেমহীন দাম্পত্যজীবন একজন নারীকে কেমন করে কুরে কুরে খায় তার সুস্পষ্ট চিত্রে খণ্ড খণ্ড ঘটনায় ভরপুর এই উপন্যাসটি। দাম্পত্য যে শুধুমাত্র যৌন সম্পর্কের অধিকার নয়, লেখক তার এ উপন্যাসে এটি বেশ নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। সম্পর্ককে সম্মান না করলে তা টিকে থাকে না; তাছাড়া, শূন্যস্থানও প্রকৃতির ইশারায় পূর্ণ হয়ে যায়, ‘পরকীয়া’ উপন্যাসটি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে সেটি। কেন এই ত্রিভুজ প্রেম? এর পরিণাম কি? নিস্পাপ সন্তানেরা কেমনভাবে বেঁচে থাকে এইসব জটিল ধাধায়! হৃদয় কাঁপানাে, লােমহর্ষক ট্র্যাজেডিপূর্ণ গল্প সম্বলিত উপন্যাস ‘পরকীয়া'। লেখক এখানে সমসাময়িক ঘটনাগুলােকেই প্রাধান্য দিয়েছেন বেশি। কাছ থেকে দেখা এক নারীর জীবনের কথাই উপন্যাসের পাতায় পাতায় বলে গেছেন তিনি। সেই অধিকারবঞ্চিত ভালােবাসার কাঙাল নারীটি ‘চাঁদনী’। স্বামী আনন্দ, একমাত্র সন্তান আদি আর প্রেমিক রাজ’কে নিয়ে ক্রমান্বয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনার সমাহার বাস্তবধর্মী উপন্যাস ‘পরকীয়া’র’ শেষ দেখত হলে বইটির শেষপাতা পর্যন্ত মনােযােগ সহকারে পাঠ করতে হবে পাঠককে। এ উপন্যাসটি শুধু একজন নারীর কথা কিংবা একজন পুরুষের কথাই বলেনি, প্রতিটি ঘটনা পাঠে মনে হবে এ যেন আমারই জীবনের কথা। সমাজ, সংসার, জগত ও জীবনের এক নির্মম চিত্র লেখকের এই অনবদ্য সৃষ্টি ‘পরকীয়া’। ত্রিভুজ প্রেমের জটিল ধাঁধার উত্তর জানতে একবার ঘুরে আসা যাক শর্মি ভৌমিকের ‘পরকীয়া’ উপন্যাসে।