"অন্তু ও ভূতবন্ধু বাতাসী" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: ‘তুমি তাে এমনি মরে আছ। নতুন করে আর মরবে কি? ভূতেরা কি মরে নাকি?' ‘তুমি দেখি কিছুই জান না। ফিক করে একটু হাসল বাতাসী। তারপর বলল, 'ভূতেরাও মরে । মরে আবার মানুষ হয়। “তাই নাকি? 'অবাক হয় অনতু। তাহলে তাে ভালই হবে। তুমি আবার মানুষ হয়ে যাবে।' 'তবে বেশ সমস্যাও আছে।' 'কী সমস্যা?' ‘মানুষ হবাে ঠিকই- মানে মানুষের আকার হবে ঠিকই। কিন্তু...।' বাতাসী হঠাৎ চুপ মেরে গেল।' ‘কিন্তু কী?' ‘খুক করে একটু কেশে নিল বাতাসী। তারপর বলল, | ‘সমস্যা হল আমার কোন অনুভূতি থাকবে না।' ‘মানে?' ‘মানে হল মানুষের যে ইন্দ্রীয়ানুভূতিগুলাে রয়েছে যেমন হাসি-আনন্দ, দুঃখ-কষ্ট, রাগ-অনুরাগ, ব্যথা, ক্ষুধা-তৃষ্ণা, স্বাদ-গন্ধ এসবের কিছুই থাকবে না।' ‘তাহলে আর মানুষ হল কী করে? অন হতাশ গলায় বলল।' ‘আমিও তাে তাই বলছি। তারচেয়ে ভূত হয়ে থাকা অনেক ভাল। ‘তা ভাল বুঝলাম। কিন্তু তােমাকে কি কখনােই দেখতে পাব না? সারা জীবন বাতাসী ভূত হয়েই থাকবে? ‘তা হয়তাে থাকব না। ভূতদের একটা ব্যাপার আছে। সময়ের সাথে সাথে মানুষের বয়স বাড়ে। আর ভূতদের বয়স প্রথমে বাড়ে, তারপর কমতে থাকে। কমতে কমতে একটা পর্যায় পর্যন্ত কমে আবার বাড়তে থাকে। তারপর আবার কমে। তারপর বাড়ে। তারপর কমে । তারপর বাড়ে। তারপর...।'