জাতিসংঘের হাইতি মিশনে সাগর নামের এক সাংবাদিকের আলেখ্য। এসেছে দেশপ্রেম। বাংলাদেশ ও হাইতির ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক নিটোল প্রেমকাহিনি। নাতাশা, মিখায়েল, নাতালি প্রেমময় চরিত্র। এসেছে ফারহা, রুশাে, ম্যাগি পার্শ্বচরিত্র হিসেবে। তিতে, টনি এসেছে কাহিনির প্রয়ােজনে। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের জীবনদর্শন এসেছে বিভিন্ন আলেখ্যে, বিভিন্ন আঙ্গিকে। নাতাশা বলছে, তুমি আমাকে চাও না, আমি জানি। আমি তাে একটি মেয়ে। আমাকে ব্যবহার করাে, বলেই সে সালােয়ার কামিজ খুলে রাখলাে। মিখায়েল বলছে, ভালেবাসা চাই না। টাকাপয়সা চাই না। কাঙাল হাত পেতেছি তােমাকে ভিক্ষা চাই। আমাকে ব্যবহার করাে। নাতালি বলছে- ভেবে দেখেছি, তােমাকে কাছে টানতে পারলেই জীবন, নইলে মরণই আমার ভালাে। সাগর বলছে, আমরা ভােগবাদি জীবনে বিশ্বাস করি না। কিন্তু আমাদের লােকেরাও ভােগ করে, উপভােগও করে। তােমরা দেহ পাও- মন পাওনা। আমরা দুটোই পাই। নাতাশা বললাে, তােমাদের দেশ ভারতের কাছে ভ্রাম্যমাণ পতিতা। তােমরা স্টাইল ফলাে করাে ভারতের। ভারতীয় গান শােনাে। হাইতি আমেয়িকানদের ফলাে করে না। আলী বললাে, আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছি লক্ষ লক্ষ শহীদ আর মা-বােনের ইজ্জতের বিনিময়ে। সাগর বললাে, দেশপ্রেম আমাদেরও আছে। বাংলাদেশ যেদিন মুভে ফাম হবে, ভারতের হাতে লাঞ্চিত হবে সেদিন আমার দেশপ্রেম যেনাে আমাকে উজ্জীবিত করে, জীবন দিয়ে বাংলার মান রাখতে যেনাে আমি ভীত বা কুণ্ঠিত না হই।