সবুজে ঘেরা ছোট্ট মফস্বল শহর জামালপুরের সাহিত্যমনা পরিবেশে আমার বেড়ে ওঠা। ছোটবেলায় ভোরের আলো ফোটার সময় আব্বা রেকর্ড প্লে-য়ারে রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনতেন। সে সুরের মূর্ছনায় ঘুম থেকে জেগে উঠতাম, আর এভাবেই রবীন্দ্রনাথের সাথে আমার প্রথম পরিচয়। আম্মা আমাকে শিখিয়েছিলেন কীভাবে কণ্ঠের মাধুর্য দিয়ে কবিতা আবৃত্তি করতে হয়। আমার আব্বা সৈয়দ আব্দুস সোবাহান খুব বই পড়তেন, প্রচুর বই কিনতেন এবং বইগুলোকে সন্তানের মতো ভালবাসতেন। তার উৎসাহে আমার বই পড়ার সূচনা, বইয়ের সাথে বেড়ে ওঠা এবং বইকে ভালোবাসা। এভাবেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, সুকান্ত ভট্টাচার্য, কাজী আনোয়ার হোসেন, হুমায়ূন আহমেদ, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সহ অনেক লেখকই হয়ে উঠলেন আমার নিত্যদিনের সঙ্গী। প্রিয় বন্ধু হাফিজ অনেকটা জোর করেই অ্যাড করেছিল ফেসবুকে আর সে থেকেই আমার লেখালেখি শুরু। এরপর ফেসবুকের বন্ধুদের উৎসাহে এগিয়ে চলেছি এক পা দুপা করে। তিন বছর আগে কাব্যকথার পঙক্তিমালা নামে একটা বই সম্পাদনা করেছিলাম। এছাড়া শব্দশিল্প, বর্ণিল সহ বেশকয়েকটা ম্যাগাজিনে এবং অনলাইনে নিয়মিত লেখালেখি করছি। ‘ত্রিভুজ জীবন’ আমার লেখা প্রথম বই। মানুষের জীবন সরলরেখায় চলে না, জীবনের আনন্দ-বেদনা, ভালোবাসা-বিরহ, আশা-প্রত্যাশা, টানাপোড়েনের কথা লিখতে যেয়ে এ বইয়ের নামকরণ করেছি ‘ত্রিভুজ জীবন’। এ বইটিতে ছোট-বড় সব মিলিয়ে আটটি গল্প স্থান পেয়েছে। লেখার ব্যাপারে আমাকে সবচেয়ে বেশি উৎসাহ জুগিয়েছেন আমার হ্যাসবেন্ড সারোয়ার খান এবং আমার দুসন্তান সাহরান ও শামায়লা। সারোয়ারের উৎসাহে এ বই প্রকাশিত হলো। এছাড়া মিতু সোবহান, শামীমা সোবহান, রোমেনা হাসান, জাহিদ সোবহান আর জিনাত সোবহান Ñ আমার ভাইবোনেরা সবসময় পাশে থেকে আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।