চীন এক উদীয়মান পরাশক্তি। চীন এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি। সামরিক শক্তিতে দেশটির অবস্থান তৃতীয়। আয়তনেও চীন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ। জনসংখ্যায় চীন পুরাে বিশ্বে প্রথম। চীনের অতীতও বেশ বর্ণাঢ্য। চৈনিক সভ্যতা পৃথিবীর পঞ্চম প্রাচীন সভ্যতা। এটি এখনাে টিকে থাকা একমাত্র প্রাচীন সভ্যতা। কারণ অন্য সকল প্রাচীন সভ্যতা ইতােমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। চীন ও আমেরিকা এখন একে অপরের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী । অনেকের ধারণা অদূর ভবিষ্যতে কোন কোন ক্ষেত্রে চীন আমেরিকাকে পিছনে ফেলে দিতে সক্ষম হবে। চীন এবং বাংলাদেশ বর্তমানে বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র। চীনের সাথে বাংলাদেশের রয়েছে বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক। বাংলাদেশের বহু মানুষ নানা কাজে চীন দেশ ভ্রমণ করে। তাই চীন সম্পর্কে জানতে এ দেশের মানুষের রয়েছে ব্যাপক আগ্রহ। লেখক একাধিকবার চীন সফর করেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে তিনি চীন দেশের ইতিহাস পড়েছেন। লেখক ১২ বছর বয়সে ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান এবং ১৩ বছর বয়সে ১৯৭০ এর ঐতিহাসিক নির্বাচনের খুদে কর্মী ছিলেন। তিনি ১৪ বছর বয়সে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তখন তিনি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজনগর বিএলএফ ক্যাম্পে বিপ্লবের দীক্ষা নেন। তিনি একজন মুক্তিসংগ্রামী ও বিপ্লবী। ১৯৭২-৭৩ খ্রিস্টাব্দে অতি অল্প সময়ের জন্য তিনি বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের পাঠ গ্রহণ করেন। তাই চীন বিপ্লবের প্রতি রয়েছে তাঁর গভীর আগ্রহ। এ কারণে তিনি চীনের ইতিহাস নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেছেন। নির্ভেজাল গণতন্ত্রী এবং খাটি বিপ্লবী উভয় রকম নেতৃত্বের প্রতি তার রয়েছে নির্যাস ভক্তি। তিনি তার আদর্শিক চেতনা, অভিজ্ঞতা এবং অধ্যয়নের আলােকে গ্রন্থটিতে চীন দেশের নানা তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। আশা করি গ্রন্থটি পাঠকের কাছে সামাদৃত হবে ।