"পৃথিবীর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ শিল্পকলার ইতিহাসবিদ ই. এইচ. গমব্রিখের লিটল হিস্ট্রি অব দ্য ওয়ার্ল্ড যদিও লেখা হয়েছিল ১৯৩৫ সালে (জার্মান ভাষায়), কিন্তু ২০০৫ সালে ইংরেজিতে প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই ইতিহাস নিয়ে লেখা হয়েছে এমন বইগুলাের মধ্যে এটি একটি অত্যন্ত মূল্যবান বইয়ে পরিণত হয়েছে। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্করণটি বিশ্বব্যাপী অর্ধ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছিল, এবং সারা বিশ্বে মােট ত্রিশটি ভাষায় বইটি পাওয়া যায় এখন। সর্বশেষ তালিকায় যুক্ত হয়েছে বাংলা ভাষার এই অনুবাদটি। অবশ্যই গমব্রিখ তার সময়ে এবং আজো পৃথিবীর সেরা শিল্পকলা ইতিহাসবিদদের একজন। তার গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাডেমিক প্রকাশনা ছাড়াও, শিল্পকলার ইতিহাস নিয়ে তার জনপ্রিয় ভূমিকা সম্বলিত ‘দ্য স্টোরি অব আর্ট’ বইটি তাকে সুপরিচিত করেছিল বিশ্বব্যাপী বহু মিলিয়ন পাঠকের কাছে। কিন্তু যদি “লিটল হিস্ট্রি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ বইটি তিনি না লিখতেন ‘দ্য স্টোরি অব আট’ বইটিও তার কখনােই লেখা হতাে না। তুর্কী সংস্করণের ভূমিকায় বইটি নিয়ে গমব্রিখ লিখেছিলেন, 'আমি গুরুত্বারােপ করতে চাই, এই বইটি ইতিহাসের কোনাে পাঠ্যপুস্তককে কখনােই প্রতিস্থাপন করার জন্যে নয়, যে বইগুলাে বিদ্যালয়ে খুবই ভিন্ন একটি উদ্দেশ্য পূরণ করে। আমি চাই আমার পাঠকরা দুশ্চিন্তামুক্ত হয়ে এই গল্পটি অনুসরণ করুক, কোনাে নােট নেওয়া বা নাম কিংবা তারিখ মুখস্থ করার কোনাে চাপ ছাড়াই। বাস্তবিকভাবেই, আমি প্রতিজ্ঞা করছি, তারা কি পড়েছেন সেটি নিয়ে আমি কোনাে পরীক্ষা নেবাে না।