বাংলা ছড়া, বাংলা সাহিত্যের বহুবিস্তৃত ও বিকাশমান ধারা বা শাখার একটি উজ্জ্বল ও শক্তিনির্ভর মাধ্যম। ইংরেজি ভাষা-সাহিত্যের Rhyme-এর সঙ্গে এর সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া গেলেও, বাংলা ছড়া ও কিশোর-উপযোগী কবিতা একটি বিশেষ সাহিত্যযাত্রার পথকে নিরাবিষ্টতায় নির্দেশ করে-যা এ অঞ্চলের মানুষের মৌলিক প্রতিসরণ ও ইতিহাসকে সহজেই তুলে ধরে সর্বান্তকরণের লৌকিক যাত্রায়। ধর্ম-রাজনীতি থেকে শুরু করে অর্থনীতি, সমাজনীতি, প্রকৃতিনীতি ও ভাবনীতিকেও মর্যাদার স্বোপার্জিত ভূমিতে তুলে ধরে। আমাদের গৌরবোজ্জ্বল ও অহংকারের শীর্ষবিন্দু ছুঁয়ে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে একাগ্রে প্রাতঃঐতিহাসিকতার সত্যসৌধে উপস্থাপন করে। প্রতিজন বাঙালির জাতীয়তাবাদ ও বিশ্বাসকে অকুণ্ঠচিত্তে প্রকাশ করে-নির্মেদ নিরালঙ্কারিক যুক্ত-মুক্তের অক্ষরক্রমিকে। এর মধ্য দিয়ে আমাদের আচার-ব্যবহার, প্রতিদিনের চাহিদা-সম্পৃক্তি ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের অমিত বিস্তৃত সোমত্ত যাত্রাকে অনুসন্ধিৎসু ও আবিষ্কারপ্রবণতায় সমৃদ্ধ করে তোলে। আমরা বিশ্বাস করি, মানুষের সংখ্যাতীত স্বপ্ন-সম্ভব সম্ভাবনাকে এ-জাতীয় সংগ্রহ প্রাণে প্রাণে সৌন্দর্যবর্ধনের অনুকরণ-অনুসরণমন্ত্রে উজ্জীবিত করে বাস্তবিক কর্ম-প্রয়াস সম্পাদনে সাম্যবাদী করে তুলবে।
কবিতা রচনা দিয়ে সাহিত্যযাত্রা, গান-গল্প-প্রবন্ধ-ছড়া-চিত্রনাট্য-কলাম প্রভৃতি লিখে চলেছেন। আধুনিক বিশ্বে ভয়ঙ্কর দুটি শক্তি : রাজনীতিক ও যাজক, তাদের ভণ্ডামির বিরুদ্ধে তুলে ধরেছেন কলম-সম্ভাবনা গদ্য-পদ্য, লিখছেন খোলামত ও মতাদর্শ।