আজ আমরা এমন এক পর্যায়ে উপনীত হয়েছি-যেখানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ছাড়া পৃথিবীকে চোখবন্ধ করে দেখার সমান। বিজ্ঞান আমাদের জীবনকে করেছে আলােকিত, দিয়েছে এক অপার সম্ভাবনার ক্ষেত্র সেই বিজ্ঞানেরই শ্রেষ্ঠ এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হলাে বিদ্যুৎ। এই প্রাকৃতিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানবসভ্যতা আজ উন্নতির চরম শিখরে পৌছে পাড়ি জমাচ্ছে। ভিনগ্রহে। বিদ্যুৎ ছাড়া যেমন আমাদের জীবন অন্ধকার, ঠিক তেমনি সভ্যতাও অচল। শুধু ঘুম থেকে উঠে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত নয়, প্রশান্তিতে ঘুমাতেও বিদ্যুৎ অপরিহার্য। বিদ্যুৎ একপ্রকার শক্তি- যা আলাে, গতি ও রূপান্তরিত শক্তি উৎপন্ন। করে। বৈজ্ঞানিক সংজ্ঞা অনুযায়ী, যদি পরিবাহীর ভেতর দিয়ে ইলেকট্রন প্রবাহিত হয়, তাহলে তাকে ইলেকট্রিসিটি বা বিদ্যুৎ বলে। বিদ্যুৎ আবিষ্কারে সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন টমাস আলভা এডিসন। মূলত বৈদ্যুতিক বাতি আবিষ্কারের মধ্য দিয়েই বিদ্যুতের যাত্রা শুরু। ১৮৮২ সালে এডিসনই প্রথম বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। তবে বিদ্যুতের ওপর গবেষণা শুরু হয় ১৬ শতক ও ১৮ শতকের মাঝামাঝিতে। আমেরিকান বিজ্ঞানী বেনজামিন ফ্রঙ্কালিন প্রথম বিদ্যুতের ওপর গবেষণা করেন। তখন শুধু সাময়িক সময়ের জন্য বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যেত, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়ার কোনাে সুযােগ ছিল না। এরই মাঝে মাইকেল ফ্যারাডের একটি সূত্র ধরেই ১৮৩১সালে ডায়নামাে আবিষ্কার করা হয় এবং সভ্যতা পায় এগিয়ে যাওয়ার মূলমন্ত্র।