‘ওরা ডানপিটে' বইয়ের কথাঃ সিরিজ-র বই মোট চারটি। তমধ্যে 'ওরা ডানপিটে' আমার লেখা কিশোর উপন্যাসটিই পরবর্তীতে ওরা ডানপিটে-১ পরিচয় পায়। সেক্ষেত্রে বলতে হয় বইটির সিরিজ লেখার পরিকল্পনা আসলেই ছিলনা। তবে পাঠকদের আগ্রহ,তাদের ভালবাসা আর আমার লেখার ধৈর্য থাকার জন্যই মূলতঃ ধারাবাহিক উপন্যাসের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। প্রিয় পাঠক, বইটিতে আপনারা পাবেন মজার কিছু চরিত্র যেমন- অয়ন, মামুন, রিয়াজের মত সাহসী,মেধাবী এ্যাডভেঞ্চার প্রিয় বালক তেমনি পাবেন অয়ন মামুন রিয়াজদের পরিবারের সদস্যসহ অতি ইন্টারেস্টিং চরিত্র ঝান্টু মামাকে। সিরিজের ১ম বইটিতে মূলতঃ অয়নের নেতৃত্বে তিন বালক ও অয়নের মামাকে (ঝান্টু মামা) সুন্দরবনের গভীর অরণ্যে প্রবেশ করে মহা বিপদে পড়তে দেখা যাবে। বইটির ওই পর্যায়ে শেষ করতে না পারার কষ্ট থেকেই চলে আসে সিরিজের দ্বিতীয় বই লেখার প্রাসঙ্গিকতা। বইটিতে একদিকে দেখানো হবে এ্যাডভেঞ্চারের পূর্বে বা শুরুতে সুন্দরবনের সৌন্দর্য্য। পরক্ষণেই এর বদলে যাওয়া ও ভয়ংকর হয়ে উঠার এক সুনিপুন উপস্থাপন। বইটি পাঠ করে কিশোর পাঠকগন পাবে একাধারে সুন্দরবন ভ্রমন ও অভিযানের স্বাদ। পাশাপাশি থাকবে ভয় শঙ্কাও। তাহলে আসুন আমরা শুরু করি ওরা ডানপিটে সিরিজের বই পড়া এবং মুহূর্তেই চলে যাই সুন্দরবনের গভীর অরণ্যে...
‘জঙ্গলে ভয়ঙ্কর সাতদিন’ বইয়ের কথাঃ 'জঙ্গলে ভয়ংকর সাতদিন' ওরা ডানপিটে সিরিজ-র দ্বিতীয় বই। প্রথমটির ধারাবাহিকতায় আসবে দ্বিতীয় বই। বইটির এ পর্যায়ে থাকবে অয়নদের সুন্দরবনের ভয়ংকর বনদস্যু ছালামত ও তার বাহিনীর হাতে বন্দি হওয়ার কথা। ছালামতের অত্যাচার নির্যাতনের ইতিহাস। তবে ছালামত ও তার বাহিনীর ভয়াবহ অত্যাচার নির্যাতনের পরও অয়ন ও তার বন্ধুরা কিভাবে টিকে থাকে তাও নিখুঁত ভাবে দেখানো হয় বইটিতে। পাশাপাশি থাকবে এতোটা প্রতিকূল পরিবেশেও দস্যু ছালামতকে নিয়ে ঝান্টু মামার নানারকম মন্তব্য,হাস্যরস। আমার বিশ্বাস পাঠকদের যথেষ্ট ভাল লাগবে ঝান্টুমামার সেসব মজাদার কর্মকাণ্ড। সেইসাথে মামুনদের উদ্ধারে বাংলাদেশ পুলিশের তৎপর হওয়ার বিষয়টিও থাকবে। তাছাড়া মামুনের বাবা বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি হওয়ায় নানাবিধ অভিযানে তৎপর থাকতে দেখা যাবে পুলিশকে। সুতরাং পড়তে থাকুন ওরা ডানপিটে সিরিজের বই...
‘বনদস্যুদের মুখোমুখি’ বইটিতে লেখা কথাঃ 'ওরা ডানপিটে' সিরিজের এ বইটিতে বুদ্ধিমান অয়নের মেধা বুদ্ধিমত্তার নানা দিক দেখানো হয়েছে। সুতরাং বইটি পাঠ করলে পাঠকগণ বুঝতে পারবেন কিভাবে সুন্দরবনের বনদস্যূদের হাতে বন্দি থেকেও নিজেকে ও গ্রুপের প্রতিটি সদস্যকে নিরাপদে রাখা যায় সেসব কৌশল ঠিক করা এবং সে কৌশল প্রয়োগ করে জঙ্গলে টিকে থাকা। অর্থাৎ এ পর্বে দেখানো হয়েছে অতি মাত্রায় বুদ্ধিমান এক বালক অয়নকে। যে কিনা তার বুদ্ধিমত্তায় টিকিয়ে রাখবে জঙ্গলে হারিয়ে যাওয়া বিপদগ্রস্থ বন্ধুদের। ফলে সন্দেহাতীত ভাবে বইটিতে প্রতিটি মুহূর্ত যাবে ভয় আর শঙ্কার মধ্য দিয়ে। পাশাপাশি জঙ্গলের অনিশ্চিত পরিবেশ তো আছেই...
‘ওরা ডানপিঠে-৪: দস্যু ছালামত বন্ধু ছালামত’ বইয়ের কথাঃ 'ওরা ডানপিটে' সিরিজের এ পর্ব অনেকটাই ব্যতিক্রম ও ঘটনাবহুল। এতে সুন্দরবনের বনদস্যু গ্রুপের কিছু সদস্যকে দেখা যায় সম্পূর্ণ ভিন্ন ভাবে। যারা এতদিন হত্যা,অপহরণ,লুন্ঠন করে বেড়াচ্ছিল তাদেরকেই বইটিতে মানবিক হতে দেখা যায়। অর্থাৎ অবিশ্বাস্য ভাবে দস্যু ছালামত বন্ধু হতে থাকে। কিন্তু এরপর-ই কী সব বিপদ শেষ হয়,সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়? না বিপদ শেষ হয়ে যায় না বরং ঘটতে থাকে আরও নানাবিধ বিপদজনক সব ঘটনা। সেক্ষেত্রে দস্যু ছালামত ও তার বাহিনীর হাত থেকে অয়নদের ছিনিয়ে নিতে তৎপর হয় সুন্দরবনের অপর দস্যু বাহিনী। ফলশ্রুতিতে শুরু হয়ে যায় প্রচন্ড গোলাগুলি। এভাবেই দস্যু ছালামত বন্ধু ছালামত-র গল্প এগিয়ে যেতে থাকে...
বদরুল আলম প্রতিভা সম্পন্ন একজন লেখক। সাহিত্যের বিভিন্ন মাধ্যমে তার সুচিন্তিত উপস্থিতি কবিতা, ছড়া, ছােটগল্প, উপন্যাসসহ বিবিধ লেখালেখিতে তার প্রতিভার ছাপ স্পষ্ট। জন্ম ১৯৭৫ সালের ১ জুলাই নারায়ণগঞ্জ জেলার কাশিপুর ইউনিয়নে। তার পৈত্রিক নিবাস মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার টেঙ্গেরচর গ্রামে। বাবা মরহুম আব্দুল মতিন মােল্লা একজন সরকারী চাকুরীজীবি ছিলেন। লেখক এক পুত্র সন্তানের জনক। বদরুল আলম সাহিত্যাঙ্গনে আবির্ভূত হন ৯০-এর দশকে নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক সঠিক সংবাদ পত্রিকায় ছােট গল্প “এবং প্রশ্ন” এর মধ্য দিয়ে। এরপর স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় তাঁর বহু গল্প, ধারাবাহিক উপন্যাস, ছড়া, কবিতা নিয়মিত প্রকাশিত হয়ে আসছে। লেখার স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি “দেশ পাবলিকেশন্স পাণ্ডুলিপি পুরস্কার-২০১৪” পেয়েছেন। ১৯৯০ সালে তিনি ঢাকা বাের্ড থেকে এস.এস.সি তারপর বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবাের্ড থেকে সিভিলইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট এবং ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি ডিপিডিসিতে প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত আছেন। বাস্তব জীবনে একজন প্রকৌশলী হয়েও চাকুরীর পাশাপাশি সাহিত্য চর্চায় তিনি যথেষ্ট প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। তার লেখা বইয়ের সংখ্যা ১৩টি। এর মধ্যে সায়েন্স ফিকশন, কিশোর অ্যাডভেঞ্চার, শিশুতোষ গল্প, সমকালীন উপন্যাস, ছড়া বিষয়ক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থাবলি রয়েছে।