"গভর্নরের স্মৃতিকথা" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ “সালেহউদ্দিন আহমেদ তার দীর্ঘ কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা লিখেছেন গভর্নরের স্মৃতিকথা বইয়ে। বইটির দুটি বিশেষত্ব রয়েছে। একটি বিশেষত্ব হলাে, তিনি সহজ ও সাবলীল ভাষায় তাঁর পরিবার সম্পর্কে এবং তাঁর আত্মীয়স্বজন সম্পর্কে লিখেছেন। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে তিনি উঠে এসেছেন। অনেক ক্ষমতাধর ব্যক্তি এ ধরনের নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসেন, কিন্তু আসার পর তাঁরা তাদের পরিবারকে ভুলে যান। ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। যদিও ঢাকা শহরে তার জন্ম এবং তিনি পড়াশােনা করেছেন ঢাকা শহরেই, তবু বইটিতে তিনি তার পরিবারের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। তাঁর পৈতৃক গ্রামের বর্ণনা দিয়েছেন, তার স্মৃতিচারণ করেছেন এবং পৈতৃক বাড়িতে তাঁর আত্মীয়স্বজন যারা ছিল, তারা সবাই সচ্ছল নয়— তাদের সবার কথাই তিনি স্মরণ করেছেন। তিনি এমন এক পরিবারে মানুষ হয়েছেন, যেখানে ভাইবােনদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত নিবিড়। এ নিবিড় সম্পর্ক নিয়ে তিনি লিখেছেন, 'আমাদের সবার সঙ্গেই সবার সম্পর্ক ভালাে। এখনাে একে অপরের সঙ্গে পরামর্শ করে কাজের সিদ্ধান্ত নিই বইটিতে তাঁর ভাইবােন এবং সন্তানদের সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেছেন। বইটির দ্বিতীয় বিশেষত্ব হলাে, বইটি একজন। আমলার স্মৃতিকথা হলেও এতে কারাে সম্পর্কে কোনাে নেতিবাচক কথা লেখা হয়নি। সাধারণত বিভিন্ন কাজ করতে গিয়ে আমলাদের অনেক প্রতিপক্ষ সৃষ্টি হয় এবং তারা তাদের স্মৃতিকথায় বিরােধীদের সম্পর্কে অনেক কটু কথা লিখে থাকেন। সালেহউদ্দিন আহমেদের বইটি পড়ে মনে হলাে, সালেহউদ্দিন আহমেদ অজাতশত্রু ছিলেন। কোথাও তার কোনাে শত্রু তৈরি হয়নি সবাইকে তিনি সমভাবে ভালােবেসেছেন এবং সবার সঙ্গে কাজ করেছেন।”