প্রাচীনকাল থেকেই মসলা খুবই দামি পণ্য। তাই এর বাণিজ্যে বিরাট পসার। তাই মসলার বাণিজ্যকে করতলগত রাখতে নিরন্তর যুদ্ধ চলেছে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মাঝে। মসলার যুদ্ধ রক্তাক্ত, হিংস্র, বীভৎস। ভাস্কো-দা-গামা সেই যে ভারতবর্ষে প্রবেশের পথ আবিষ্কার করেছিলেন তার পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল মসলার বাণিজ্য নিজেদের হস্তগত করা, যা ছিল চিরশত্রু আরবের মুসলমান বণিকদের অধীনে। সেই থেকে শুরু, ধর্মীয় ট্যাগ লাগিয়ে নির্বিচারে জলপথে নিষ্ঠুরতা চালানো, মুসলমান বণিকদের ওপর অত্যাচারের তান্ডবলীলা, সেই সাথে স্থানীয় রাজ্যে ত্রাস সৃষ্টি করে প্রায় দেড়শ বছর একচেটিয়া মসলার বাণিজ্য দখল করে রাখে পর্তুগিজরা। এরপর আসে ডাচ বণিকেরা। তারা আর কেবল ক্রয়-বিক্রয়ের বাণিজ্য না একেবারে উৎপাদনের দিকে নজর দেয় ভারতবর্ষসহ ইন্দোনেশিয়ার ছোট ছোট গ্রামগুলোতে। কেননা এতে লাভ আরো বেশি। তখন শুরু হয় অত্যাচারের আরেক ধরন। এবার ফসল ফলানো চাষিরা রুপান্তরিত হয় নিঃস্ব কুলিতে আর পশ্চিমারা হয় ধনী! সময়ের পরিক্রমায় আসে ইংরেজ। এভাবেই যেন শোষিত হতে থাকে ভারতবর্ষ, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা সহ মসলা উৎপাদনকারী দ্বীপরাষ্টগুলো। স্বাধীন রাষ্টগুলো এভাবেই শৃঙ্খলিত হয় উপনিবেশের নিগড়ে!