"বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক মতবাদ" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন এক দেশ বিনির্মাণের পরিকল্পনা করেছিলেন, যেদেশে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি হবে চিরস্থায়ী; যেদেশ হবে শােষণমুক্ত। বঙ্গবন্ধু গড়তে চেয়েছিলেন সুস্থ-সবল-বৈষম্যহীন উন্নত বাংলাদেশ। তাঁর দর্শন বাস্তবায়ন হলে, দেশে কোনাে দরিদ্র মানুষ থাকবে না। উন্নয়ন হবে টেকসই এবং গণমুখী। সুষম উন্নয়নের স্বার্থে বঙ্গবন্ধু নগর-গ্রাম এবং ধনী-দরিদ্রের বিস্তর ব্যবধানের লাগাম টেনে ধরেছিলেন। তিনি মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করতে নিয়েছিলেন বহুমুখী পরিকল্পনা; দিয়েছিলেন নতুন অর্থনীতির বার্তা। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের সঙ্গে মিশে আছে অর্থনৈতিক দর্শন। সেখানে উঠে এসেছে দারিদ্র্য বিমােচন, বিশ্বব্যাপী টেকসই উন্নয়ন ও আধুনিক রাষ্ট্র নির্মাণের অর্থনৈতিক মতবাদ। বঙ্গবন্ধুর দর্শন বিশ্বব্যাপী দরিদ্র-নিপীড়িত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তির সনদ। দারিদ্র্য বিমােচন, রাষ্ট্র গঠন এবং টেকসই উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শন, পরিকল্পনা, কর্মসূচি সুনির্দিষ্ট মতবাদ আকারে এই বইতে বিবৃত হয়েছে। অর্থনীতির শিক্ষার্থী ও গবেষক-বিশ্লেষক এবং রাজনীতিকদের জন্য বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক মতবাদ উন্নত রাষ্ট্র ও প্রগতির বিশেষ বার্তাবাহী প্রয়াস।
মুস্তফা মনওয়ার সুজন পেশায় সাংবাদিক। নোয়াখালী সদরের চরমটুয়া ইউনিয়নের শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামে বাড়ি। জন্ম ১৯৭৬ সালের ৫ মার্চ। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের গীতিকার, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী অধ্যাপক মোহাম্মদ হাশেম ও রওশন আরা দম্পতির পাঁচ সন্তানের মধ্যে তৃতীয়। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পরিসংখ্যানে অনার্স-মাস্টার্স করেন। ২০০৪ সালে যুগান্তরে সহ-সম্পাদক পদে যোগদানের মধ্য দিয়ে পেশাজীবন শুরু। পরে বাংলাদেশ প্রতিদিন, ভোরের ডাক, আলোকিত বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জার্নাল এবং সংবাদসংস্থা বিডিলাইভ ও বাংলাটাইমসে কাজ করেন। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এসএ টিভিতে যোগ দিয়ে টেলিভিশন সাংবাদিকতায় যুক্ত হন। এখন আছেন নিউজবাংলায়। সিনেমা ম্যাগাজিন প্রক্ষেপণ ও কবিতার কাগজ আড্ডার তিনি প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। চোখ ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব সভাপতি এবং শাবিপ্রবি সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। একাত্তরের ডিসেম্বর (২০১৮) মুস্তফা মনওয়ার সুজনের প্রথম গ্রন্থ। বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক মতবাদ (২০১৯) তার দ্বিতীয় গ্রন্থ। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিলেবাসভুক্ত এই গ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণ বেরিয়েছে ২০২১ সালে।