নিশুর ভীষণ মন খারাপ। তার সাথে একটা চাপা রাগ মিশে ক্ষোভে পরিণত হয়েছে। তাই সে অস্বাভাবিক রকম চুপচাপ হয়ে বসে আছে তার বেঞ্চে। মৌটুশি আর ঐশি কি যেন বলছে আর ওর দিকে তাকিয়ে প্রচণ্ড রকম হাসাহাসি করছে। যেন সে কোন জেস্টার, রং বেরংয়ের পোশাক পড়ে জোকারি করছে। আর না হয় মাথার দু'পাশে তার শিং গজিয়েছে। ওদের দিকে না তাকালেও নিশু ঠিক বুঝতে পারছে, হাসাহাসির কেন্দ্রবিন্দু সে নিজেই। এটা নিশুর উপলব্ধি। উপলব্ধি মানুষের তৃতীয় চোখ। সেই তৃতীয় চোখের কারসাজিতেই তাদের দিকে না তাকিয়েও সেই ব্যাপারটা বুঝতে পারছে। মৌটুশি আর ঐশি নিশুর নাম মাত্র বান্ধুবী। দু'মাস হল ওদের সাথে বন্ধুত্ব। মৌটুশী বেশ সুন্দরী। বেশির ভাগ সুন্দরী মেয়েগুলো একটু দেমাকে ধরনের হয়। মৌটুশী সে বৈশিষ্ট্যের সম্মান রেখেছে ঠিকঠাক। ক্লাসের ফাস্ট বেঞ্চের ছাত্রী সে। ও টুকুই তার সম্বল অহংকারটাকে জিইয়ে রাখার জন্য। ঐশিও অনেকটা মৌটুশির মত। আশে পাশের মানুষগুলোকে সে মানুষ বলেই গন্য করে না। ওদের দুজনের গলায় গলায় ভাব। ঐশি মৌটুশিকে সংক্ষিপ্ত করে কখনও 'মৌ' কখনও 'টুসি' সম্বোধন করে। মাত্র তিন মাস হল সে কলেজে এডমিট নিয়েছে। এরই মাঝে সে টেনিস তারকা বনে গেছে।