বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ থেকে নেওয়া নামিদের বাস ঢাকায়, এম এ শেষ করে চাকুরির জন্য হন্তদন্ত ছুটে বেড়াচ্ছে। বাবার ইচ্ছে সরকারি চাকুরী কিন্তু ইচ্ছে পুরণ হয়না। শেষে কাজ জোটে এক প্রিন্টিং প্রেসে। মার্কেটিং জবের কল্যাণে পরিচয় হয় ধনীর দুলালী নূহা রহমানের সঙ্গে। সে বাবার কোম্পানি দেখাশুনা করে। কিন্তু সবসময় মনে করে কোনকিছুই তার নিজের নয়। সে জীবনকে দেখে অসংখ্য গল্পের সংমিশ্রণে। কত বৈচিত্রময় ঘটনাইতো ঘটে মানুষের চোখের সামনে বা আড়ালে। সেই সব ঘটনা বা জীবন চলার হিসাব নিকাশ নানান রকমের হতে থাকে। কিছু হিসাব আপনা আপনিই মনের ভেতরে মিশে যায় তাদের। আর সেটা যদি হয় ভালোবাসা বা ভালোবাসার অপেক্ষা। অন্যদিকে গল্পের অন্যদিকে নামিদের খালাতো বোন দিনার এক একটা রাত কাটে নিষ্ঠুর কষ্টে। একসময় নিষ্ঠুরতার সীমা ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছে। হিংস্র পশুর মতো সময়ের টুটি কামড়ে ধরে তাকে। দিনার মনে হয় এই কষ্টের রাত গুলো থেকে বুঝি নিস্তার নেই। উপন্যাসের আখ্যান এগিয়ে যায়। প্রত্যেক মানুষের জীবনভর মুহূর্ত কাটে। এক একটা মুহূর্ত কাটছে বড় দীর্ঘ হয়ে অশরীরী ছায়া হয়ে। চোখ টলমল হয়, তবুও হাসি ফোঁটে। যতই ব্যথা হোক তবুও ভালবাসা জন্ম জন্মতরের জন্য রয়ে যায়। একসময় আমরা সবাই মুখোমুখি হই সেই নিষ্ঠুর অপেক্ষা বা নি:শব্দ প্রহরে।
নাম, ধাম, বয়স, সময় বিবিধের ভিড়ে তিনি হারাতে চাননি কোনদিন। তাই তাঁর পরিচয় অতি সাধারণ। লেখার আনন্দে লেখেন, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে গল্প বলেন, আর ভাগ করে নিতে ভালোবাসেন নানা রকমের গল্প সকল বন্ধুদের সঙ্গে।ছোটবেলায় কেটেছে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের বিস্তৃত সবুজ গ্রাম নাটুয়ার পাড়ায়। বাবা প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ আব্দুল কুদ্দুস সরকার, মা আসমা সরকার। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে কনিষ্ট সন্তান।জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টারস সম্পন্ন করেন তিনি।হুটহাট করে ঘুরতে বের হওয়া এবং জমিয়ে আড্ডা দেওয়া তাঁর অন্যরকম ভালোলাগা। বর্তমানে বাস করছেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রকাশিত প্রশান্তিকা পত্রিকার বার্তা সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন। যাঁরা তাকে চেনেন এবং জানেন তাঁরাই বলেন, তিনি তাঁর লেখার মতোই সহজ ও সরল। তাঁর সাতটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশের বই বিক্রির আরো একটি পোর্টাল ‘বইফেরী বেস্টসেলার আ্যওয়ার্ড ২০২৩’ এ জিতে নেয় আরিফুর রহমানের উপন্যাস আমাদের ঠিকানা বদলে গেছে। তাঁর অন্যান্য উপন্যাস ‘এবং একা’, ' জানি সে আসবে না' , 'দহন দিনের গান’, ‘নিঃশব্দ প্রহরে’, ‘সন্ধ্যারাগ’, ‘স্বপ্নজাল’ পাঠকমহলে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। পাঠকদের ভালোবাসায় এবারের উপন্যাস ‘সাউদার্ন ভ্যালি ওয়ে’।