গলাকাটা ঘোড়া' একটি 'টিন এজ হিস্টোরিকাল ফান স্টোরি'। ইংরেজ নীলকরদের অত্যাচারের কথা সবার জানা। তা নিয়ে অনেক গল্প-কবিতা-নাটকও লেখা হয়েছে। ইতিহাসের পাতায় রচিত হয়েছে একটি কালো অধ্যায়। নীলকর সাহেবদেরই একটি কাহিনীর পটভূমিতে লেখা গল্পটি ছোটদের তো বটেই আশা করি বড়দেরও সবার ভালো লাগবে। ধন্যবাদ দিতেই হয় প্রকাশক রুমা রানী পালকে। বলা যায়, তার ঐকান্তি প্রচেষ্টায় বইটির প্রকাশনা দ্রুততর হলো। এ ছাড়া আমার স্ত্রী অধ্যাপক শাহানা পারভীন, দুই কন্যা আয়েশা ঋদ্ধি ও আয়েশা ঋতিও লেখার জন্য বারংবার তাগাদা দিচ্ছিল। সে জন্যে আমি তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। যে কোন বই-ই প্রথম সংস্করণে ত্রুটিমুক্ত করা খুবই কষ্টকর। এটিও ত্রুটিমুক্ত হয়েছে বলে আমি মনে বা দাবি করছিনে। তবে ত্রুটিমুক্ত করতে চেষ্টার এতটুকু ঘাটতি ছিল না। একটি ত্রুটিমুক্ত বই পাঠকের হাতে তুলে দিতে কতটুকু সফল হয়েছি সে বিচার করবেন পাঠক। অনিচ্ছাকৃত কোন ভুল-ত্রুটি থেকে যেতেই পারে। কোন ভুল থেকে গেলে পরের সংষ্করণে সশোধনের সুযোগ তো থাকছেই। মতের পার্থক্য হতেই পারে। মেইলে মতামত দিতে পারেন। সবার সহযোগিতা পেলে পরবর্তী মুদ্রণের পর একটি আরো ভালো বই আপনাদের হাতে তুলে দেবার অঙ্গীকার রইল। কোন পরামর্শ থাকলে সেটাও জানাতে ভুলবেন না। বইটি সবার ভালো লাগলে আমাদের সবার শ্রম সার্থক হবে। ভালো থাকবেন সবাই। চারপাশের সবাইকে ভালো রাখবেন।
দুই বাংলার পাঠকপ্রিয় কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মাজহারুল পারভেজ। লেখেন উপন্যাস, কিশাের উপন্যাস, শিশুতােষ বই, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক, কবিতা ও খেলার বই।। অনুবাদ ও সম্পাদনাতেও রয়েছে দক্ষতা। অনুবাদ ও। সম্পাদনা করেছেন পৃথিবীর বিখ্যাত কবিদের কবিতা ।। বলা যায়, সাহিত্যের সব শাখায় তার রয়েছে অবাধ। বিচরণ। লিখছেন আড়াই দশক ধরে। বাংলাদেশ ও। ভারতে প্রকাশিত তার বইয়ের সংখ্যা সব মিলিয়ে। দু’শতাধিক। ১৯৮৯ সালে লেখা শুরু। ১৯৯২ সালের একুশে বইমেলায় একসাথে ৬ খানা বই প্রকাশের মধ্যে দিয়ে লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ। ১৯৯৫ সালে তিনি। প্রথম লেখক হিসেবে বাংলা একাডেমি বইমেলায় ‘একক বইয়ের স্টল’ করেন। যা তখন ব্যাপক প্রশংসিত হয়। এ বছরই তাঁর নেতৃত্বে গঠিত হয় “বাংলাদেশ লেখক। পরিষদ”। তিনি প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। দীর্ঘদিন। ক্রীড়ালেখক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন। ২০০৪ সালে অমরেশ বসু কলেজ সাহিত্য সম্মাননা, ২০১৪ সালে কলকাতার (পশ্চিম বাংলা, ভারতের) ইতিকথা সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন ও একই বছর। ক্রীড়ালেখক সমিতি আয়ােজিত ইন্টারন্যাশনাল স্পাের্টস প্রেস-ডে (এআইপিএস-ডে) সম্মাননায় ভূষিত হন। । ১৯৬২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মাগুরা জেলার পুখরিয়া। (আলােকদিয়া) গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পীর পরিবারে জন্ম ।। পিতা মরহুম সৈয়দ হাসান আলী, মা মরহুমা সৈয়দা। আয়েশা হাসান। ৯ ভাইবােনের সবার ছােট। ১৯৯৫ সালে তিনি বিয়ে করেন। স্ত্রী অধ্যাপক শাহানা পারভীন। লাভলী এবং দুই কন্যা আয়েশা ঋদ্ধি ও আয়েশা ঋতিকে। নিয়ে ঢাকার মিরপুরের সেনপাড়া পর্বতায় লেখকের। সুখের সংসার।