সুমন শামস আমার দেখা সমসাময়িক তরুন মেধাবীদের মধ্যে অগ্রগণ্য এক কবিমানস,সাহিত্যের কয়েকটি শাখায় তার উত্তীর্ণ ও বিস্ময়কর বিচরণ আমাকে গভীরভাবে আশ্বস্ত করেছে।প্রথমত ওকে কবি হিসেবে আবিস্কার করলেও;পরবর্তীতে তার গল্প এবং প্রবন্ধের সঙ্গে পরিচিত হই তার পাঠ ও সাহিত্যচর্চার পরিণত চেহরাটা দেখে।এতোটা কম বয়সের একজন তরুণ প্রভাষক কী করে এতোসব রপ্ত করলেন,ভেবে কিনারা হয় না।মনে হয় যেনো ওর ভেতরে অনেক আগেই থেকেই সাহিত্য রচনার সকল রীতিকানুন ঈশ্বর সপ্তমুখে গুঁজে দিয়েছিলেন।সেই মুখ খুলে বেরিয়ে এসেছে সুমন শামস।সুমনের কবিতা পড়তে গেলে বাংলা ভাষার সবচেয়ে প্রভাববিস্তারকারি কবি জীবনানন্দ দাশকে দেখে ফেলি।না,অনুসরণ কিংবা অণূকরণে নয়।মেধায় ও নির্মাণে ।সুমনের কবিতা শুধূ কবিতা মাত্র নয়,অনুসন্ধানী পাঠক কবিতার আস্বাদ যেমন পাবেন-তেমনি অনুভব করবেন ভ্রমণের পুলক।সুমনের কবিতার এতো বেশি পৌরণিক চরিত্র,ঐতিহাসিক স্থান-বলয়,ঐতিহ্যের সমন্বয় ঘটেছে যে পাঠক সব জেনে বুঝে পড়তে গেলে তার বিশ্বভ্রমণটাই ঘটে যাবে।সুমন সময়ের থেকে অগ্রগামী কবি ও কথাসাহিত্যিক।ওর কবিতার চিত্রকল্প,শব্দবিন্যাস ও উপমা-উৎপেক্ষায় কোনো বহুজীর্ণ অক্ষমতার গন্ধ ভরা নেই।নিরন্তর ছন্দ ভেঙ্গে নতুন নতুন দ্যোতনা আবিস্কারেও সিদ্ধহস্ত।তার কথাসাহিত্যে ও গল্পের বেলায় একই কথা বলা যায়।সুমনের গল্পে যেমন সময়-অসময়ের গল্প আছে;তার গল্পভাষ্য ও বিন্যাস তেমনি যেনো সময়কে ছাড়িয়ে এক অসমাণ্য আখ্যানমালা।সুমন গল্পে খোঁজেন না;গল্পই তার স্বার্থকতা পরিণতির লক্ষ্যে সুমনকে খুঁজে নেয়।সুমনের গল্প কবিতা থেকে খুব বেশী দূরে অবস্থান করে না। -ওবায়েদ আকাশ