মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের দেশে স্বাধীনতা বিরোধিরা বিভিন্নভাবে পাকিস্তানীদের সাথে যোগসাজশ খুন,ধর্ষণ,হত্য,লুট ও অপকর্ম করেছে।মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানিদের বিদায় জানালেও স্বাধীনতা বিরোধীরা সমাজে রয়ে গেছে ।এখনও তারা সমাজে প্রতিষ্ঠিত।অন্যদিকে বিজয়ের এত বছর পরও আমরা আমাদের পূর্ববর্তী প্রজন্মের জন্য মুক্তিযুদ্ধের নির্দলীয় একটি ইতিহাস রচনা করতে পারিনি।সময় বদলানোর সাথে সাথে ইতিহাস বদলায়।মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস আমাদের কাছে পৌছেছে অনেক দেরিতে।সেই সঙ্গে চাপা পড়ে গেছে অনেক ইতিহাস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম ইতিহাস খ্যাত জেলা কুষ্টিয়া।এই জেলাকে ঘিরে রয়েছে স্বাধীনতার সে র্যোদয়ের ইতিহাস।সারাদেশের ন্যায় কুষ্টিয়া জেলায়ও রয়েছে মুক্তিযুদ্ধেরে বিভিন্ন স্মৃতিবিজড়িত ঘটনা প্রবাহ।রয়েছে ছোট-বড় যুদ্ধক্ষেত্র,গণকবর,গণহত্যার ইতিহাস।তেমনি একটি যুদ্ধক্ষেত্র কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের ডাঁশার চাষী যুদ্ধ ক্লাব।এই যুদ্ধক্ষেত্রের পাশেই রয়েছে গণকবর।যেটি এখন শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে তৈরী ‘ডাঁশার চাষী স্মৃতিস্তম্ভ-রক্তঋণ-২’। এই্ গ্রন্থে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর পরিবারের জীবনী,যুদ্ধাহত ও অংশগ্রহণকারীদের যুদ্ধদিনের গল্প এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক তাঁদের জীবনের ঘটনাগুলি তুলে ধরা হয়েছে।সেইসঙ্গে শহীদ ও প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার জীবনী পরিবারের কিছু সদস্যদের মাধ্যমে সাক্ষাৎকার ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছে।প্রায় অর্ধযুগ ধরে বিভিন্ন সময়ে নেওয়া হয়েছে সাক্ষাৎকারগুলি।আশা রাখি মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক ইতিহাস হিসেবে গ্রন্থখানি সকলের কাছে সমাদৃত হবে।