"আন্ডারওয়ার্ল্ড" বইয়ের পেছনের কভারে লেখা:উনিশ শতকের ইংরেজ সাহিত্যিক মেরি শেলি । ফ্রাঙ্কেনস্টাইন' নামে একটি উপন্যাস লিখেছিলেন। এই উপন্যাসের নায়ক ডা. ফ্রাঙ্কেনস্টাইন ল্যাবরেটরিতে একটি মানুষ সৃষ্টি করতে যেয়ে সৃষ্টি করলেন মানুষরূপি এক দানব। যে দানবের হাতে প্রথমে নিহত হয় স্রষ্টার এক সহকারী ড. নীল ও একজন আয়া এবং ফ্রাঙ্কেনের। বিয়ের রাতেই তার স্ত্রীসহ পরিবারের সবাইকে হত্যা করলাে এই দানব। শেষে এই দানবকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন ফ্রাঙ্কেনস্টাইন। কিন্তু সেই দানবকে হত্যা করতে যেয়ে নিজেই প্রাণ দিলেন ফ্রাঙ্কেনস্টাইন। মারা যাবার পর দানবটি আত্মহত্যার চিন্তা করে হারিয়ে যায়। পরে আর তাকে কখনও দেখা যায়নি ।। উপন্যাসের এক যায়গায় দুঃখ করে ফ্রাঙ্কেনস্টাইন। বলেছেন, আমি ওকে সব দিয়েছি, শুধু দিতে পারিনি মানুষের বিবেক ও মেধা। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের মতাে অনেক নেতা সৃষ্টি করেছেন দানবসদৃশ এমন কিছু যুবক। যাদের কারণে তারা নিজেরই ধ্বংস ডেকে এনেছেন। রাজনীতির ইতিহাস তাই-ই বলে। মির্জা মেহেদী তমাল লিখেছেন সত্যিকারের দানবসদৃশ সেই সব কিছু যুবকের কথা। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত ‘ডন’ হয়ে আন্ডারওয়ার্ল্ড শাসন করেছে। যারা-তাদের অপরাধ কাহিনী। তার লেখার গুণে এগুলাে হয়ে উঠেছে সাধারণ গােয়েন্দা গল্পের চেয়েও রুদ্ধশ্বাস। বাংলাদেশের ‘আন্ডারওয়ার্ল্ড’ নিয়ে সিরিজ প্রতিবেদন 'বাংলাদেশ প্রতিদিন এ প্রকাশিত হওয়ার সময়ই বিপুল সাড়া জাগিয়েছে পাঠকদের মধ্যে। তারই মধ্য থেকে নির্বাচিত অপরাধ কাহিনীগুলাে পাঠকদের জন্যে একত্রিত করা হলাে এই বইয়ে (এই বইয়ের প্রতিটি ঘটনাই সত্য। গােপনীয়তার প্রয়ােজনে কোনাে কোনাে পাত্র-পাত্রীর নাম পরিচয় বদলে দেওয়া হয়েছে)।