নাহমাদুহু ওয়ানুসাল্লি আলা রাসুলিহিল কারীম, আম্মা বাদ! তাকলীদ! আমাদের বৈশিষ্ট। আমাদের স্বকীয়তা। কুরআনে কারীম ও হাদীস শরীফে তাকলীদের পক্ষে বহু নির্দেশনা। রয়েছে। সাহাবায়ে কেরামের জীবনীতে রয়েছে যার অসংখ্য প্রমাণ। চৌদ্দশত বছর থেকে উম্মাহ অবিচ্ছিন্নভাবে একমত। হয়ে তাকলীদ করছেন। তাকলীদ ব্যতীত কুরআন সুন্নাহ। অনুসরণ করা আমাদের পক্ষে অসম্ভব। সর্বযুগে, সবার জন্য একদম অসম্ভব ছিল, এ কথা আমরা বলি না, এখনাে বলছি । না। তবে স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমাদের পক্ষে তাকলীদ ব্যতীত কুরআন ও হাদীসের উপর আমল করা অসম্ভব। যুক্তির আলােকে বুঝতে চাইলে বিষয়টি আরাে সহজতর হয়ে। ধরা দিবে। কালের বিবর্তনে একসময়ের গুরুত্বহীন অনেক বিষয়। মানুষের জন্য আবশ্যিক হয়ে উঠে। অর্ধ শতাব্দী পূর্বে যার। কল্পনা মানুষ করতে পারে নি, আজকের সমাজ ব্যবস্থায় এগুলাে বাস্তবায়িত হয়েছে, এবং মানুষের নিত্য দিনের অতি আবশ্যকীয় বিষয় হয়ে আছে। তাকলীদ নিয়ে বলতে গেলে এ বিষয়টি আরাে সহজভাবে প্রমাণিত হয়। কয়েক শতাব্দী পূর্বে উলামায়ে কেরাম হয়ত কল্পনাও করতে পারেন নি যে, তাকলীদ নিয়ে লেখালেখি এতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যাবে । কুরআন হাদীস দ্বারা প্রমাণিত, সাহাবায়ে কেরাম দ্বারা সত্যায়িত, যুক্তির আলােকে ভাস্বর একটি বিষয় নিয়ে অহেতুক প্রলাপ ও বাক-বিতন্ডা শুরু হতে পারে, তারা হয়ত এমনটি কল্পনাও করতে পারেন নি। কিন্তু আজকের সমাজে তাকলীদ নিয়ে প্রচুর লেখালেখি ও পড়াশুনা করা আবশ্যিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক্ষেত্রে লা মাজহাবী বন্ধুদের বিভিন্ন বেফাঁস মন্থব্য মুসলিম উম্মাহকে পেরেশান করে তুলছে। তাই, মুসলিম উম্মাহর সহীহ অবস্থান জানাতে আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াস। কুরআনে কারীম, হাদীস শরীফ ও যতিন আলােকে তাকলীদকে স্পষ্ট করার চেষ্টা করেছি। মা আল্লাহ তাআলা আমাদের সকল মেহনতকে নিজ দয়া মেহেরবানীতে কবুল করে নিন। সহযােগী সকল বন্ধুদেরকে দুনিয়া ও আখেরাতে উত্তম বদলা দান করুন। দারুল উলম লাইব্রেরীর সত্ত্বাধিকারী বন্ধুবর মাওলানা শহীদুল ইসলাম। হাফিজাহুল্লাহু তাআলা প্রকাশনার গুরু দায়িত্ব বহন করেছেন। মহান আল্লাহ তাআলা তাকে আপন শান মত জাযা দান করেন।