বৃহত্তর যশোরের ইতিহাস (হার্ডকভার)

এ. এস. এম. রফিকুর রহমান ১৯৭৪ সালে যশোর শহরে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন । পিতামহ মরহুম আব্দুল আজিজ মোল্যা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী এবং ভিক্টোরিয়া-ক্রস স্বর্ণপদক প্রাপ্ত । মাতামহ মরহুম কাজী আব্দুল মজিদ পাকিস্তান আমলে দুই বার জাতীয় পরিষদের নির্বাচিত (রাজশাহী-৪ আসনে) সদস্য। পিতা আলহাজ মো. শামসুর রহমান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রশাসন ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। মাতা আলহাজ বেগম সুফিয়া রহমান একজন সুগৃহিণী, যিনি ২০১৪ সালে জাতীয় ভাবে ‘রত্নগর্ভা' পদক লাভ করেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ হতে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন । পরবর্তীকালে পেশাগত উৎকর্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বহুমাত্রিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের পাশাপাশি বি.এড, এম.এড ও পিএইচ.ডি ডিগ্রি অর্জন করেন । ঢাকাস্থ ইনস্টিটিউট অব সাইন্স, ট্রেড এন্ড টেকনোলজি-তে প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু হয়। এরপর ২২তম বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারে যোগদান করে (২০০৩) পর্যায়ক্রমে সরকারি এম. এম. কলেজ, যশোরে; সরকারি বি. এল কলেজ, খুলনায় ইতিহাস বিভাগে শিক্ষকতা করে বর্তমানে সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, যশোরে একই বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন। তাঁর স্ত্রী ফারজানা ইসলামও বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের একজন সদস্য এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে একটি সরকরি কলেজে কর্মরত আছেন। তাঁদের এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। তিনি বাংলা একাডেমি বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা : যশোর শীর্ষক গ্রন্থের অন্যতম তথ্য সংগ্রাহক ও গবেষক। স্বীকৃত জার্নালেও তাঁর গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে । এছাড়া তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস শীর্ষক গ্রন্থের (গ্রন্থ কুটির) সহ-প্রণেতা।