মুহাম্মদ কামাল হোসেন এর ‘অর্ধেক হুমায়ূন অর্ধেক আমি’ গল্পের বইটিতে,এর প্রতিটি চরিত্রে আমি মাটির সোঁদা গন্ধ পেয়েছি, পেয়েছি জীবনের ঘ্রাণ! বগলের ইট ও একটুকরো ইলিশ গল্পে কন্যার জন্য একটুকরো ইলিশ আনতে অক্ষম এক বাবার গুমরে মরা আর্তনাদ ইচ্ছে ডানার মেঘ বালিকা গল্পে ক্ষরিত বৃষ্টির ছন্দময় ধারায় গীতিময় স্বপ্নবালিকা অহনাকে ফিরে পাওয়া, দিনেদিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা গল্পের বিচিত্র চরিত্র দিনু, যাপিত জীবনের জটিল অঙ্ক মেলাতে ব্যস্ত রেহনুমা বেগম, অন্যান্য গল্পের হতদরিদ্র রমিজ মিয়া, জমির মিয়া, পেঁজা মেঘে ভেজা সূর্য গল্পে নাফনদীর বেলাভূমিতে রোহিঙ্গা কিশোরী নীলাঞ্জনার হৃদয়চেরা কান্না এক অমোঘ আকর্ষণে আমায় টেনে নিয়ে চলে গল্লের শেষ না হওয়া গল্পে। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের নির্মম জীবনগাঁথার চিত্র, দেশপ্রেম, অপেক্ষার ক্লান্ত প্রহর উঠে এসেছে বিজয়ের লাল বারান্দা,বিপন্ন প্রহর,আলতা বানু গল্পগুলোতে। বিশুদ্ধ বাংলা বানান, গল্পকারের ভাষার বুননে আর নির্ভুল প্রকাশনায় বইটির স্বকীয়তা প্রকাশ পায় অনন্যসাধারণ হয়ে। অনাবিল শুভ কামনা ও আন্তরিক ভালোবাসা রইলো দাঁড়ি কমা প্রকাশনী ও লেখক গল্পকার মুহাম্মদ কামাল হোসেন কে- এমন অপূর্ব বই প্রকাশ করে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করার জন্য। ‘অর্ধেক হুমায়ূন অর্ধেক আমি’ প্রিয় বইটির বহুলপ্রচার কামনা করছি।
গল্প যাদের রক্তে চলাফেরা করে তাদের নিস্তার নেই। গল্প তাদের তাড়িয়ে বেড়ায়। একটা গল্প লেখা শেষ হলে নতুন আরেক গল্প এসে অতিষ্ঠ করে তোলে। মুহাম্মদ কামাল হোসেনের অবস্থান এই কাতারে। তিনি গল্পের ভেতর শব্দ নিয়ে খেলতে ভালোবাসেন। লেখকের প্রথম বইয়ের নাম 'অর্ধেক হুমায়ূন অর্ধেক আমি'। লেখক ও গল্পকার মুহাম্মদ কামাল হোসেন ইতিহাস ঐতিহ্য সমৃদ্ধ ঐতিহ্যবাহী কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলার ছোটশরীফপুর গ্রামে ১৯৮৩ সালের ৮ই জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। প্রায় দু'যুগেরও অধিক সময় ধরে তিনি দেশের বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় ছোটগল্প ছাড়াও ফিচার, প্রবন্ধ, নিবন্ধ ও বিভিন্ন সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে কলাম লিখে চলেছেন। কর্মজীবনে তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন গবাদিপশু'র বিরাট খামার। পাঠকের নিরলস ভালোবাসা ও সমর্থন নিয়ে আগামীদিনগুলোতেও কাগজ কলমের এই অবিচ্ছেদ্য মিতালি চলতে থাকবে।