”এতো পড়ে কি হবে!”বইয়ের প্রথম ফ্ল্যাপ এর লেখা: শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। একে জাতির মেরুদণ্ড বলা হয়। আবার শিক্ষকরা হলেন জাতি গঠনের কারিগর। সংজ্ঞা হিসেবে বলা হয়, শিক্ষা হচ্ছে দেহ, আত্মা ও মনের সমন্বিত উন্নতি অথবা আচরণের স্থায়ী পরিবর্তন। আমাদের যাপিত জীবনে শিক্ষা পথের দিশা দেয়। তবে তাকে গঠনমূলক ও প্রায়ােগিক হতে হয়। সমাজের নানামুখি প্রতিকূলতা সত্ত্বেও শিক্ষকরা সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যান। শিক্ষাও জাতি গঠনে ভূমিকা পালন করে। তেমনই বাস্তবধর্মী বিষয় ও অভিজ্ঞতানির্ভর গ্রন্থ হচ্ছে যােবায়ের আহমদের এতাে পড়ে কী হবে! যােবায়ের আহমদের জন্ম কুমিল্লা জেলার মনােহরগঞ্জ উপজেলায়। পেশাগত ব্যস্ততার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন ও সেবামূলক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত আছেন। তার লেখালেখির হাতেখড়ি ব্লগ আর সােশাল মিডিয়ায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যমে। তার প্রথম গ্রন্থটি ছিল ইংরেজি রােরাল সেটেলমেন্টস নামে একটা গবেষণা প্রতিবেদন, যা জার্মানি থেকে প্রকাশিত হয়েছিল। এতাে পড়ে কী হবে! গ্রন্থটি লেখক যােবায়ের আহমদের আত্ম-অভিজ্ঞতার প্রাঞ্জল সরলরৈখিক বর্ণনা। লেখাগুলাে মূলত সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রকাশিত লেখকের টুকরাে টুকরাে অনুভূতির রসালাে উপস্থাপন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন একাডেমিক জটিল বিষয়গুলাে সম্পর্কে বিশ্লেষণ ও সমাধানের ইঙ্গিত আছে। গ্রন্থের প্রতিটি লেখায়। শিক্ষার্থীরা এই গ্রন্থ পাঠে অনেকটা দিনির্দেশনা, নৈতিক ও প্রায়ােগিক শিক্ষা, জীবনে এগিয়ে চলার প্রেরণা লাভ করবে। এই গ্রন্থটি শিক্ষার্থীদের কাছে আদৃত হবে। হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।