রোড আইল্যান্ডের প্রভিডেন্সের কাছে একটা বেসরকারি হাসপাতাল আছে, সেখান থেকে সম্প্রতি একটা পাগল পালিয়েছে। পাগল লোকটার নাম চার্লস ডেক্সটার ওয়ার্ড। শোকার্ত বাবা ভীষণ অনিচ্ছায় ছেলেকে পাগলা গারদে ভর্তি করেছিলেন। তিনি দেখেছেন যে সামান্য ভ্রান্তি থেকে ক্রমশ বিকার মানসিকতা কিভাবে তার মনে খুনি প্রবণতার জন্ম দিয়েছিল এবং একটি গভীর আপাত বিষয় তার মনকে অদ্ভুত পরিবর্তন করেছিল। ডাক্তাররা তার কেস নিয়ে হতভম্ব হয়ে পড়েছিল, যেহেতু এ অস্বাভাবিকতা যেমন শারীরিক, তেমনি মানসিক। প্রথমদিকে রোগীকে ছাব্বিশ বছর বয়সের চেয়ে বেশি বয়স্ক মনে হত। এটা সত্য যে মানসিক ব্যাঘাত মানুষের বয়স বাড়িয়ে দেয়, কিন্তু এই যুবকের মুখ এমনভাবে বদলে গিয়েছিল যা শুধু বয়ঃসন্ধিকালেই হয়। তারপর তার জৈবিক প্রক্রিয়াগুলোর অনুপাতের এমন একটি নির্দিষ্ট প্রশস্ততা দেখা গেলো যার নজির চিকিৎসা জগতে আর নেই। সাদৃশ্য রইলো না শ্বসন এবং হৃদপিণ্ডের ধুকপুকুনির মধ্যে। গলা এমন বসে গেল যে, কানে কানে কথা বলার মত ফিসফিস করে কথা বলতে হত চার্লসকে। হজম করার সময় বেড়ে গেল এবং ক্ষমতা গেল কমে। সুস্থ বা অসুস্থ অবস্থায় মানব-স্নায়ু যেভাবে সাড়া দেয় চার্লসের ক্ষেত্রে ঘটল তার বিপরীত। সৃষ্টি ছাড়া এই গরমিলের অনুরূপ উদাহরণ চিকিৎসা শাস্ত্রেই নাকি বিরল।