তেল-গ্যাসসমৃদ্ধ মুসলিম দেশগুলােতে অতি কৌশলে সংঘাত সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে। কারণ জ্বালানি শক্তির অপর নাম বিশ্বশক্তি। বিশ্বে সমৃদ্ধ জাতি হতে হলে জ্বালানি নিরাপত্তার বিকল্প নেই। মধ্যপ্রাচ্যে চরম অশান্তির মূল কারণ হলাে খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস, যার নিয়ন্ত্রণ নিয়েই মূলত ইরাক, ইরান-ইরাক ও আফগান যুদ্ধ। লিবিয়া ও মিসরে সরকার ব্যবস্থার পরিবর্তন। খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস এমনই মহামূল্যবান সম্পদ যে, এগুলাে নিজেদের কব্জায় রাখার জন্য বিশ্বের পরাশক্তিগুলাে সব সময় পাগলপ্রায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে তকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট ১৯৪৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরব সফরে এসে বাদশা আবদুল আজিজের সাথে তেলের বিনিময়ে নিরাপত্তা সম্পর্ক স্থাপন (Oil for protection relationship) করেন যা আজো চালু আছে। “১৯৭০ সালে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বলেছিলেন, “যদি বিশ্বের তেলসম্পদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা যায়, তাহলে দুনিয়ার সব জাতির কর্তৃত্ব হাতের মুঠোয় চলে আসবে, আর যদি বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে হস্তগত করা যায়, তাহলে দুনিয়ার মানুষগুলাে পদানত থাকবে।” (If you control oil, you control nations, and if you control food you control people. (Henry Kissinger-1970)