"সরকারি কাজে বাংলা ব্যবহারে প্রশাসনিক নির্দেশনা" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ ফেব্রুয়ারি সংবাদে বলা হয়েছে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন, “সরকারি ভাষা হবে বাংলা (official language will be Bengali)।” ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭১ তিনি পরিভাষা নির্মাণের জন্য পণ্ডিতগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। পরবর্তীকালে ‘বাংলা একাডেমি’ ও ‘বাংলা ভাষা বাস্তবায়ন কোষ’ হতে পদবি ও প্রশাসনিক পরিভাষার উপর বহুগ্রন্থ প্রণীত হয়। স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ। করেই ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গবন্ধু সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং সরকারি কাজে বাংলা ব্যবহারের নির্দেশনা প্রদান করেন। ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলায় প্রথম ভাষণ দিয়েছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর মধ্য দিয়ে বিশ্বসভায় বাংলা ভাষার মর্যাদা সমুন্নত হয় ও বাংলা ভাষার এক মহাপরিকল্পনা রচিত হয়। আনন্দের বিষয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলেই ১৯৯৯-এর ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘের ইউনেসকো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে ঘােষণা করে। সরকারি কাজে বাংলা ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনিক নির্দেশনা জারি হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বাংলা ভাষা বাস্তবায়ন কোষের অ্যাসাইনমেন্ট অফিসার মাে. মােস্তফা শাওন রচিত ‘সরকারি কাজে বাংলা ব্যবহারে প্রশাসনিক নির্দেশনা’ বইতে স্বাধীনতা-উত্তর ১৯৭১ থেকে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাজে বাংলা ব্যবহারের নানা প্রশাসনিক নির্দেশনা সন্নিবেশিত হয়েছে। সরকারি কাজে বাংলা ব্যবহারের ইতিহাসভিত্তিক এরকম বইয়ের প্রয়ােজন রয়েছে। পরবর্তী প্রজন্ম প্রশাসনিক কাজে বাংলা ব্যবহারের ধারাবাহিক এই ইতিহাসে উদবুদ্ধ হয়ে প্রমিত বাংলা ব্যবহারে উৎসাহী হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আমি এ গ্রন্থপ্রণেতাকে সাধুবাদ জানাই এবং গ্রন্থটির পাঠকসমাদর কামনা করছি। বিশ্বজিৎ ঘােষ। উপাচার্য, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়