তথ্য প্রযুক্তি বা আইসিটি (ICT-Information and Communication Technology) আমাদের জীবনের প্রায় প্রতিটি মুহূর্তকেই করেছে প্রভাবিত। এর সুফল বা কুফল আমাদের সবারই কম বেশি জানা। নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সেই প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা, বিশেষত সেই সব ক্ষেত্রকে অগ্রাধিকার দেওয়া যার মাধ্যমে মানুষের জীবনকে অধিকতর সহজ ও স্বাছন্দময় করে নেওয়া যায়। এই দৃষ্টিকোণ হতে ইন্টারনেট অফ থিংস বা আইওটি (IoT-Internet of Things) অত্যন্ত কার্যকরী একটি প্রযুক্তি । আমরা এমন এক পৃথিবীতে বসবাস করছি যার প্রায় প্রতিটি প্রান্তই আজ ইন্টারনেট দ্বারা সংযুক্ত। বিগত প্রায় তিন দশক জুড়ে ইন্টারনেটের ক্রমবর্ধমান বিস্তৃতি যেভাবে আমাদেরকে বিশ্বব্যাপী সংযুক্ত করেছে, অনুরূপভাবে তা এখন সংযুক্ত করছে আমাদের বিবিধ কাজে ব্যবহৃত বস্তুসমূহকে। আর এই সংযুক্ত ব্যবস্থাকেই অভিহিত করা হচ্ছে "ইন্টারনেট অফ থিংস' তথা আইওটি হিসেবে। ধারণা করা হচ্ছে , ভবিষ্যতে কোনাে এক পর্যায়ে এরূপ সবকিছুই সংযুক্ত হয়ে আমাদের জীবনকে করে তুলতে পারে পুরােপুরি স্বয়ংক্রিয় বা অটোমেটেড। যথার্থ ও সর্বোত্তম প্রয়ােগের মাধ্যমে এই প্রযুক্তি যেন আমাদের জন্য সর্বাঙ্গীণ সুফল বয়ে আনতে পারে, সেজন্য দরকার প্রয়ােজনীয় সচেতনতা। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে সূচনালগ্ন হতেই “আইওটি ফর বাংলাদেশ” (IoT for Bangladesh) বিবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে, যার মধ্যে রয়েছে ত্রৈমাসিক মূদ্রিত ও অনলাইন প্রকাশনা (www.iotforbd.com); কর্মশালা, প্রদর্শনী ইত্যাদি। এই কর্মকান্ডের অংশ হিসেবেই প্রকাশিত হচ্ছে এই বইটি, যা মূলত স্বেচ্ছায় রচনা করেছেন একদল উদ্যোমী লেখক। তাদের বেশিরভাগই এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যনরত আছেন। একাডেমিক ব্যস্ততার চূড়ান্ত পর্যায়েও তারা আন্তরিকভাবে সময় ও শ্রম দিয়ে এটি রচনার কাজ সূচারুভাবে সম্পন্ন করেছেন, যা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। আইওটি বিষয়ে এদেশের জনমানুষে সচেতনতা তৈরিতে ন্যূনতম ভূমিকা পালন করার লক্ষ্যেই আমাদের এই অতিক্ষুদ্র প্রয়াস।