"জীবনের একটি লক্ষ্য আছে" বইয়ের কথা: জীবন কী? জীবন কি শুধুই বিনোদন? শুধুই পানাহার? বিত্তের মোহ? খ্যাতির অন্বেষা? পার্থিবতার পেছনে নিরন্তর ছুটে চলা? এরই মধ্যে হায়াত শেষ করে চেনাজানা এই জগৎ থেকে 'নেই' হয়ে যাওয়া? নাহ, এমন নয়। এই হিসাব মানজীবনের সাথে কিছুতেই মেলে না। বোধ-বুদ্ধি ও বিচার-বিবেচনায় অনন্য এই সৃষ্টি কিছুতেই এত ক্ষুদ্র হতে পারে না। মানবজীবন কিছুতেই এত অসার, এত দায়হীন হতে পারে না। তাহলে? তাহলে জীবনের অর্থ কী? তাৎপর্য কী? লক্ষ্য কী? গন্তব্য কী? চেতনার এই জ্বলজ্বলে প্রশ্নোগুলো নিয়ে কিছু হার্দিক কথা—জীবনের একটি লক্ষ্য আছে।
"জীবনের একটি লক্ষ্য আছে" বইয়ের সূচিপত্র: আল-কুরআন : আমাদের জ্ঞানের উৎস..... ৯-১৬ অগ্রগামিতা ও পশ্চাৎপদতা..... ১৭২২ একটি দুআ, একটি দর্শন..... ২৩-২৮ জীবনের একটি লক্ষ্য আছে..... ২৯-৪০ আখিরাত অবধারিত..... ৪১-৫০ সীরাত : মানবজীবনের সর্বোত্তম নমুনা..... ৫১-৫৮ তাকওয়ার দুই স্তর, মুত্তাকীর দুই শ্রেণি..... ৫৯-৭০ সামষ্টিক জীবনের ইসলামী নীতি..... ৭১-৭৮ প্রত্যেককে যে প্রশ্নগুলাের মুখােমুখি হতে হবে..... ৭৯-৯০ ঈমান ও ঈমানের মেহনত..... ৯১-৯৪ দেশ ও দেশবাসীর কল্যাণকামিতা..... ৯৫-১০৪ দয়াময়! আলাে দিন ওই অন্ধ চোখে..... ১০৫-১১৪ হাদীস ও সুন্নাহয় আদব শিক্ষা..... ১১৫-১২৪ কুরআনে চিন্তা-ভাবনার আহ্বান..... ১২৫-১৩৪ শান্তির পথ..... ১৩৫-৪৪
(২ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৮ – ২৪ মে ১৯৮২) তিনি ছিলেন দেওবন্দি ধারার একজন হানাফি পণ্ডিত। তিনি হাদিসের বিশেষজ্ঞ ছিলেন। তার চাচা মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস কান্ধলভি ছিলেন সংস্কারমূলক আন্দোলন তাবলিগ জামাতের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ফাজায়েলে আমল নামক গ্রন্থের লেখক। এটি উর্দুতে লিখিত হলেও অন্যান্য ভাষায় অনূদিত হয়েছে।[১][২][৩] তার জীবনীগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে হায়াতে শায়খুল হাদিস ও আপবীতি। মুহাম্মদ জাকারিয়া ১৮৯৮ সালে কান্ধলা নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াহিয়া। গাঙ্গোহ নামক স্থানে তিনি তার পিতার মাদ্রাসায় দশ বছর পাঠগ্রহণ করেন। ১৯১০ সালে তিনি মাজাহির উলুম শাহারানপুর মাদ্রাসায় শিক্ষালাভের জন্য আসেন। এই মাদ্রাসা দারুল উলুম দেওবন্দের সাথে সম্পর্কিত ছিল। তিনি তার পিতা ও মাওলানা খলিল আহমেদ শাহারানপুরির কাছ থেকে হাদিস শিক্ষালাভ করেন। ১৯১৫ সালে উত্তীর্ণ হওয়ার পর তিনি এখানে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় দেওবন্দ আন্দোলনের প্রসারে তার ভূমিকা রয়েছে।