‘মানবাধিকার ও নারী অধিকার’ বইয়ের কথাঃসূচিপত্র প্রথম ভাগ : মানবাধিকার প্রথম অধ্যায় : মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকার ১৭-৩০ ১. মানবাধিকার ১৯ ২. মানবাধিকারের বৈশিষ্ট্য ১৯ ৩. মানবাধিকারের ক্রমবিকাশের ইতিহাস ২২ ৪. মৌলিক অধিকার কী ২৯ ৫. মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকারের পার্থক্য ২৯
দ্বিতীয় অধ্যায় : বাংলাদেশের সংবিধানে মৌলিক অধিকার ৩১-৪৪ ১. বাংলাদেশ সংবিধানে মৌলিক অধিকার ৩১ ২. মৌলিক অধিকার রক্ষায় সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকা ৪৩
চতুর্থ অধ্যায় : আন্তর্জাতিক বিল অব রাইটস ৫৬-৬৩ ১. আন্তর্জাতিক বিল অব রাইটস বা অধিকারের সনদ ৫৬ ২. মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র ৫৭ ৩. নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি ৫৮ ৪. অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি ৬০ ৫. আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত ঐচ্ছিক চুক্তি ৬১ ৬. আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত দ্বিতীয় ঐচ্ছিক চুক্তি ৬২
পঞ্চম অধ্যায় : মানবাধিকার সংক্রান্ত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিসমূহ ৬৪-৭৫ ১. গণহত্যাজনিত অপরাধ প্রতিরোধ এবং গণহত্যার শাস্তি সংক্রান্ত চুক্তি ৬৪ ২. নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ চুক্তি (সিডও) ৬৫ ৩. সকল প্রকার জাতিগত বৈষম্য নিরসন চুক্তি ৬৬ ৪. নির্যাতন এবং অন্যান্য ধরনের নিষ্ঠুর, অমানবিক অথবা মর্যাদাহানিকর আচরণ বা শাস্তি বিরোধী চুক্তি ৬৭ ৫. জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ ৬৮ ৬. নারীর রাজনৈতিক অধিকার চুক্তি ৬৯ ৭. অভিবাসী শ্রমিক এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের অধিকার সুরক্ষা বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি ৭০ ৮. জবরদস্তিমূলক অন্তর্ধান থেকে সকল ব্যক্তিকে রক্ষাকল্পে আন্তর্জাতিক চুক্তি ৭২ ৯. প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার বিষয়ক চুক্তি ৭৩ ১০. আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার সংক্রান্ত ঐচ্ছিক চুক্তি ৭৪
ষষ্ঠ অধ্যায় : নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার ৭৬-৮৪ ১. নাগরিক অধিকার ৭৬ ২. রাজনৈতিক অধিকার ৭৬ ৩. নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তিতে প্রদত্ত অধিকার ৭৭ ৪. নাগরিক অধিকারসমূহ ৭৭ ৫. রাজনৈতিক অধিকারসমূহ ৭৯ ৬. বাংলাদেশের সংবিধানে নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার ৮০
সপ্তম অধ্যায় : অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার ৮৫-৯৬ ১. অর্থনৈতিক অধিকার ৮৫ ২. সামাজিক অধিকার ৮৬ ৩. সাংস্কৃতিক অধিকার ৮৭ ৪. আন্তর্জাতিক চুক্তিতে প্রদত্ত অধিকার ৮৭ ৫. আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার নতুন অধিকার নয় ৯৪ ৬. আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের গুরুত্ব ৯৫ ৭. আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার রক্ষায় করণীয় ৯৫
অষ্টম অধ্যায় : বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ৯৭-১০৪ ১. মানবাধিকার কমিশনের গঠন ৯৮ ২. কমিশনের নিয়োগ, মেয়াদ ইত্যাদি ৯৮ ৩. কমিশনের কার্যাবলি ৯৯ ৪. মানবাধিকার লংঘন প্রকাশ পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবস্থা ১০১ ৫. তদন্ত সম্পর্কিত ক্ষমতা ১০২ ৬. অভিযোগের অনুসন্ধান ১০২ ৭. শৃঙ্খলা বাহিনীর ক্ষেত্রে অনুসরণীয় পদ্ধতি ১০২ ৮. তদন্ত পরবর্তী কার্যক্রম ১০৩
দ্বিতীয় ভাগ : নারী অধিকার প্রথম অধ্যায় : নারী অধিকার ১০৫-১১৬ ১. নারী অধিকার কী ১০৭ ২. নারী অধিকার বিষয়টি আলাদাভাবে আলোচিত হচ্ছে কেন ১০৮ ৩. নারী অধিকার বলতে সিডও চুক্তিতে কী বোঝানো হয়েছে ১০৮ ৪. নারী অধিকার গুরুত্বপূর্ণ কেন ১০৯ ৫. নারী অধিকারের অন্তরায় কী ১১০ ৬. নারী অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপ ১১৩
দ্বিতীয় অধ্যায় : নারীর ক্ষমতায়ন ১১৭-১৩০ ১. নারীর ক্ষমতায়ন ১১৭ ২. নারীর ক্ষমতায়নে নারীর স্বাধীন পছন্দ ও জোড়ালো ১১৯ বক্তব্যের গুরুত্ব ৩. নারীর ক্ষমতায়ন গুরুত্বপূর্ণ কেন ১২০ ৪. নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ১২১ ৫. নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ১২২ ৬. বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন ১২২ ৭. নারীর ক্ষমতায়নে বাধা কী ১২৮ ৮. নারীর ক্ষমতায়নে কি করা উচিত ১২৯
তৃতীয় অধ্যায় : নারীর নাগরিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার ১৩১-১৩৫ ১. নারীর নাগরিক অধিকার ১৩১ ২. আইনগত ও চুক্তির অধিকার ১৩১ ৩. বিবাহ, তালাক এবং মাতৃত্বের অধিকার ১৩২ ৪. নারীর মৌলিক নাগরিক স্বাধীনতা ১৩২ ৫. নারীর রাজনৈতিক অধিকার ১৩২ ৬. নারীর অর্থনৈতিক অধিকার ১৩৩ ৭. নারীর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার ১৩৩ ৮. নারীর নাগরিক, রাজনৈতিক, আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় করণীয় কী ১৩৪
চতুর্থ অধ্যায় : নারীর সম মজুরির অধিকার ১৩৬-১৪৩ ১. নারীর সম মজুরির অধিকার ১৩৭ ২. নারীর সম মজুরির অধিকার আন্দোলনের ইতিহাস ১৩৯ ৩. বাংলাদেশে নারীদের সম মজুরির অধিকার ১৩৯ ৪. নারীর সম মজুরির অধিকার প্রতিষ্ঠার ইতিবাচক দিক কী ১৪১ ৫. নারীর সম মজুরির অধিকার প্রতিষ্ঠায় করণীয় কী ১৪২
পঞ্চম অধ্যায় : নারীর যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার ১৪৪-১৫০ ১. যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকারের মূল উপাদান কী ১৪৫ ২. প্রজনন স্বাস্থ্য বলতে আইসিপিডিতে (ICPD) কী বোঝানো হয়েছে ১৪৫ ৩. প্রজনন অধিকার বলতে আইসিপিডিতে (ICPD) কী বোঝানো হয়েছে ১৪৬ ৪. নারীর যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকারের প্রাসঙ্গিকতা ১৪৭ ৫. নারীর যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার ১৪৮ ৬. নারীর যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার এবং উন্নয়ন ১৪৯
ষষ্ঠ অধ্যায় : নারীর প্রতি সহিংসতা ১৫১-১৫৯ ১. নারীর প্রতি সহিংসতা এবং নারী নির্যাতনের কারণ ১৫২ ২. নারীর প্রতি সহিংসতার ক্ষেত্রে কী কী ঝুঁকি রয়েছে ১৫৩ ৩. নারীর প্রতি সহিংসতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চিত্র ১৫৪ ৪. নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫৫ ৫. পারিবারিক সহিংসতা ১৫৫ ৬. জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিতে কী বলা হয়েছে ১৫৭ ৭. নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা ১৫৮ ৮. ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় কী বলা হয়েছে ১৫৮ ৯. নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিরোধে করণীয় ১৫৮
সপ্তম অধ্যায় : বাল্যবিবাহ : নারী উন্নয়নের অন্তরায় ১৬০-১৬৭ ১. নারী ও শিশু অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশের অঙ্গীকার ১৬০ ২. বিবাহ বলতে কী বুঝি ১৬১ ৩. বিয়ের উপযুক্ত বয়স কত ১৬১ ৪. বাল্যবিবাহ বলতে কী বুঝি ১৬২ ৫. বাল্যবিবাহের শাস্তি কী ১৬২ ৬. বাল্যবিবাহ নারী উন্নয়নের অন্তরায় ১৬৩ ৭. কেন বাল্যবিবাহ হয় ১৬৫ ৮. বাল্যবিবাহের কুফল কী ১৬৬ ৯. আমাদের করণীয় ১৬৬
অষ্টম অধ্যায় : নারীর দেনমোহর, ভরণপোষণ ও বিবাহ বিচ্ছেদের অধিকার ১৬৮-১৭৪ ১. নারীর দেনমোহরের অধিকার ১৬৮ ২. স্ত্রী কর্তৃক তালাক প্রদান করা হলেও দেনমোহর দিতে হবে ১৬৮ ৩. নারীর বিবাহ বিচ্ছেদের অধিকার ১৬৯ ৪. যে সকল কাজ স্ত্রীর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ বলে গণ্য হবে ১৭০ ৫. স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষমতা প্রদান ১৭১ ৬. ভরণপোষণের অধিকার ১৭১ ৭. ভরণপোষণের জন্য স্ত্রী কর্তৃক আইনগত ব্যবস্থা ১৭২ ৮. হিন্দু আইনে ভরণপোষণ ১৭৩ ৯. খ্রিস্টান আইনে ভরণপোষণ ১৭৪
নবম অধ্যায় : নারীর সম্পত্তির অধিকার ১৭৫-১৭৮ ১. নারীর সম্পদের অধিকার ১৭৬ ২. মুসলিম আইন ১৭৬ ৩. হিন্দু আইন ১৭৭ ৪. খ্রিস্টান আইন ১৭৭ ৫. বৌদ্ধ আইন ১৭৮
দশম অধ্যায় : নারীর প্রতি ফৌজদারি অপরাধ ও প্রতিকার ১৭৯-১৯৪ ১. নারীর প্রতি ফৌজদারি অপরাধের স্বরূপ ১৭৯ ২. ধর্ষণ ১৮০ ৩. দহনকারী, ইত্যাদি পদার্থ দ্বারা সংঘটিত অপরাধ ১৮২ ৪. নারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনা ১৮৩ ৫. যৌন পীড়ন ১৮৩ ৬. নারীর শালীনতার অমর্যাদার অভিপ্রায়ে কোন মন্তব্য, ১৮৪ অঙ্গভঙ্গি বা কোন কাজ ৭. যৌতুকের জন্য মৃত্যু ঘটানো ১৮৪ ৮. পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে ফৌজদারি অপরাধ ১৮৭ ৯. এসিড নিক্ষেপের মাধ্যমে সহিংসতা ১৮৯ ১০. মানব পাচারের মাধ্যমে নারীর সঙ্গে ফৌজদারি অপরাধ ১৯০ ১১. মানব পাচারের শাস্তি ১৯১ ১২. সংঘবদ্ধ মানব পাচার অপরাধের দণ্ড ১৯১ ১৩. অপরাধ সংঘটনে প্ররোচনা, ষড়যন্ত্র বা প্রচেষ্টা চালানোর দণ্ড ১৯১ ১৪. জবরদস্তি বা দাসত্বমূলক শ্রম বা সেবা প্রদান করিতে বাধ্য করিবার দণ্ড ১৯২ ১৫. পতিতাবৃত্তি বা অন্য কোনো প্রকারের যৌন শোষণ বা নিপীড়নের জন্য আমদানী বা স্থানান্তরের দণ্ড ১৯৩ ১৬. পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে আহবান জানাইবার দণ্ড ১৯৩
সংযোজনী তৃতীয় ভাগ : আইনসমূহ সংযোজনী-১ : যৌতুক নিরোধ আইন, ১৯৮০ ১৯৭ সংযোজনী-২ : নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ ২০০ সংযোজনী-৩ : এসিড অপরাধ দমন আইন, ২০০২ ২১৬ সংযোজনী-৪ : কারাগারে আটক সাজাপ্রাপ্ত নারীদের বিশেষ সুবিধা আইন, ২০০৬ ২২৫ সংযোজনী-৫ : জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯ ২৩১ সংযোজনী-৬ : পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন, ২০১০ ২৪৪ সংযোজনী-৭ : মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২ ২৫৯ সংযোজনী-৮ : হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন আইন, ২০১২ ২৮১ সংযোজনী-৯ : পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন, ২০১৩ ২৮৫ সংযোজনী-১০ : নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩ ২৮৮ সংযোজনী-১১ : ডিঅক্সিরাইবো নিউক্লিক এসিড (ডিএনএ) আইন, ২০১৪ ২৯৬ সংযোজনী-১২ : শিশু-মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট আইন, ২০০২ ৩০৮ সংযোজনী-১৩ : বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ ৩১৬
চতুর্থ ভাগ : নীতিমালাসমূহ সংযোজনী-১৪ : জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি, ২০১১ ৩২৩ সংযোজনী-১৫ : পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) বিধিমালা, ২০১৩ ৩৫৬ সংযোজনী-১৬ : নির্যাতিত, দুঃস্থ মহিলা ও শিশু কল্যাণ তহবিল পরিচালনা নীতিমালা, ২০০৪ ৩৬৯ সংযোজনী-১৭ : গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি, ২০১৫ ৩৭৭
পঞ্চম ভাগ : আন্তর্জাতিক চুক্তিসমূহ সংযোজনী-১৮ : নারীর রাজনৈতিক অধিকার কনভেনশন ৩৮৯ সংযোজনী-১৯ : বিবাহে সম্মতি, ন্যূনতম বয়স এবং রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত কনভেনশন ৩৯২ সংযোজনী-২০ : নারীর প্রতি বৈষম্য বিলোপ ঘোষণাপত্র ৩৯৫ সংযোজনী-২১ : নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপ কনভেনশন ৩৯৯ সংযোজনী-২২ : অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি ৪১১ সংযোজনী-২৩ : নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক চুক্তি ৪২৩
ভূমিকা মানবাধিকার বলতে মানুষের এমন কিছু অধিকারকে বোঝায় যা মানুষ সহজাত অধিকার হিসেবে জন্মগ্রহণের সাথে সাথে অর্জন করে। এই অধিকারসমূহ কোন ব্যক্তির জীবন ধারণ, সুস্থভাবে বেড়ে ওঠা এবং সামগ্রিক বিকাশের জন্য একান্তভাবে প্রয়োজন। কারণ, এ সকল অধিকার ছাড়া মানুষ স্বাধীনসত্তা হিসেবে বেঁচে থাকতে পারে না।
বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই নারী অধিকার এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। দেশে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং প্রতিটি ব্যক্তির মানবাধিকারের প্রতি সম্মান জানাতে বাংলাদেশ বিশ্বসম্প্রদায়ের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এ কারণে বাংলাদেশ জাতিসংঘের আওতায় প্রণীত মানবাধিকার সংক্রান্ত প্রায় সকল গুরুত্বপূর্ণ দলিলে স্বাক্ষর করেছে এবং মানবাধিকার সংরক্ষণে তার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় অবস্থানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ মানবাধিকার, নারী এবং শিশু অধিকার সংরক্ষণ ও প্রতিষ্ঠার জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।
সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের মানবাধিকার এবং নারী অধিকার সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ সকল আইন, বিধি-বিধান এবং আন্তর্জাতিক ডকুমেন্ট সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। পাঠকগণ এ সকল বিষয় সম্পর্কে যেন জানতে পারেন সে উদ্দেশ্যে সকলের জন্য সহজবোধ্য করে ‘মানবাধিকার ও নারী অধিকার’ বইটি লেখা হয়েছে। বইটির সংযোজনীতে মানবাধিকার এবং নারী অধিকার সম্পর্কিত বিষয়ে আমাদের দেশে প্রণীত কিছু গুরুত্বপূর্ণ আইন, নীতি এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন কনভেনশনের মূল টেক্সট রাখা হয়েছে। কিছু আন্তর্জাতিক চুক্তি/কনভেনশনের বাংলা অনুবাদের জন্য জাতিসংঘ তথ্যকেন্দ্র, ঢাকা কর্তৃক বাংলা ভাষায় প্রকাশিত কিছু পুস্তিকার সহায়তা নেওয়া হয়েছে। বইটি লেখার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ওয়েব সাইট এবং কিছু সহায়ক গ্রন্থের সহায়তা নেওয়া হয়েছে এবং প্রতিটি তথ্যসূত্র উল্লেখ করা হয়েছে। উৎস লিংকের সহায়তায় আগ্রহী পাঠকগণ এ বিষয়ে আরো বিশদভাবে জানতে পারবেন। বইটি প্রকাশ করার জন্য ‘মুক্তচিন্তা’ প্রকাশনার স্বত্বাধিকারী জনাব শিহাব বাহাদুরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বইটি মুদ্রণে জনাব আব্দুল গণি এবং জনাব বাহাউদ্দিন যে সহযোগিতা করেছেন সেজন্য আমি তাঁদেরকেও ধন্যবাদ জানাই। আমার সহধর্মিণী তাহমিনা হক বইটির মান বৃদ্ধিতে মূল্যবান পরামর্শ দেওয়ায় তাঁর কাছে আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। প্রথম সংস্করণে বইটিতে তথ্যগত বা মুদ্রণজনিত ভুল থেকে যেতে পারে। আশা করছি কোন ভুল-ত্রুটি থাকলে তা পরবর্তী সংস্করণে সংশোধন করা হবে। এই বইয়ের বিভিন্ন অধ্যায়ে যে সকল বিষয়ে আলোচনা ও পর্যালোচনা করা হয়েছে এবং তার আলোকে যে সকল কথা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে তা একান্তভাবেই আমার গবেষণালব্ধ জ্ঞানের প্রতিফলন। এ সকল বক্তব্যের সাথে আমি যে সকল প্রতিষ্ঠানে ইতোপূর্বে কাজ করেছি বা বর্তমানে কাজ করছি সে সকল প্রতিষ্ঠানের অবস্থান বা বক্তব্যের সাথে কোন সম্পর্ক নেই।
‘শিশু অধিকার’ বইয়ের কথাঃ শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। একটি শিশুর প্রকৃত মানবসন্তান হিসেবে সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠার জন্য তার কিছু মৌলিক অধিকার রয়েছে। এ সকল অধিকার রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। প্রতিদিনই অসংখ্য শিশু নানাভাবে অবহেলা, নির্যাতন এবং নিপীড়নের শিকার হচ্ছে এবং তাদের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। আমরা অনেকে জেনে বা না জেনে শিশুদের অধিকার উপেক্ষা করে যাচ্ছি। শিশুদের অধিকার রক্ষায় বাংলাদেশের সংবিধানে দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন আইন ও নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কনভেনশন ও চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। এ সকল আইন, নীতিমালা এবং কনভেনশন সম্পর্কে আমরা সকলে অবগত নই । শিশুদের অধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে কী কী প্রতিকার রয়েছে তাও আমাদের সকলের জানা নেই। শিশুদের কল্যাণের কথা বিবেচনা করে শিশুদের সাথে সম্পৃক্ত আইন, বিধি-বিধান এবং আন্তর্জাতিক ডকুমেন্ট সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়ােজন। বইটির সংযােজনীতে শিশুদের বিষয়ে আমাদের দেশে প্রণীত কিছু গুরুত্বপূর্ণ আইন, নীতি এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন কনভেনশনের মূল টেক্সট রাখা হয়েছে । বইটি লেখার ক্ষেত্রে কিছু সহায়ক গ্রন্থ, ওয়েব সাইট এবং ডকুমেন্টের সহায়তা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি বিষয়ের শেষে বিস্তারিত তথ্যসূত্রে এ সকল উৎসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে । পাঠকগণ বিস্তারিত জানার জন্য উৎস লিংকের সহায়তা নিতে পারেন । আশা করা যায় বইটি কিছুটা হলেও পাঠক, মানবাধিকার কর্মী, শিশু অধিকার কর্মী, আইনজীবী, শিক্ষার্থী এবং সর্বোপরি অভিভাবকগণের প্রয়ােজন মেটাবে ।
নাজমুল শামিম ১৯৭৫ সালের ১ জুলাই বরগুনা জেলাধীন বেতাগী উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বেতাগী উচ্চ বিদ্যালয় হতে মাধ্যমিক ও বরিশাল সরকারী ব্রজমোহন কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তী সময়ে ঢাকা জেলা বারের সদস্য হিসেবে আইন পেশায় যোগ দেন। তিনি কয়েক বছর মানবাধিকার কর্মী হিসেবেও কাজ করেন। তিনি অস্ট্রেলিয়া সরকারের বৃত্তি নিয়ে University of Queensland থেকে Governance and Public Policy বিষয়ে ২০১৩ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ছোটবেলা থেকেই জনাব শামিম লেখালেখির সাথে জড়িত ছিলেন। স্কুলে অধ্যয়নকালে তিনি “নবজাগরণ” নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করেন। কলেজ জীবনে তিনি অতিথি সম্পাদক হিসেবে তিনি বরিশালের “দৈনিক প্রবাসী”র শিশুদের পাতা সম্পাদনা করেন। তিনি কিছুদিন এই পত্রিকার নিজস্ব সংবাদদাতা হিসেবেও কাজ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তিনি ‘হৃদয়ে শ্রাবণ’ এবং ‘কীর্তনখোলা’ নামে দুটি লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনা করেন। এ সময়ে সাহিত্য চর্চার পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় কলাম লেখেন। তাঁর লেখা প্রবন্ধসমূহ দৈনিক ইত্তেফাক, ভোরের কাগজ, ডেইলি স্টার, বাংলাদেশ অবজারভার এবং ইন্ডিপেনডেন্ট পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত গ্রন্থ: প্রবন্ধ গ্রন্থ: সিভিল সার্ভিস, পাবলিক পলিসি, গুড গভার্ন্যান্স অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি, বাংলাদেশের সংবিধান ও সাংবিধানিক আইন, আমাদের শিশু: আলোকিত ভবিষ্যত এবং নারী-আলোর অভিযাত্রী। আইন ও মানবাধিকার: শিশু অধিকার, মানবাধিকার ও নারী অধিকার, মানবাধিকার-সহজপাঠ এবং প্রাচীন রোমের ইতিহাস ও আইন। শিশুতোষ: চাঁদের আলোয় বারবিকিউ, ছোটদের প্রিয় নজরুল, ছোটদের প্রিয় রবীন্দ্রনাথ এবং ভূত এসেছে চুপি চুপি। উপন্যাস: ইরাবতী গল্পগ্রন্থ: চলো ভিজি বৃষ্টিতে নাজমুল শামিম ২০০১ সাল থেকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে কাজ করছেন। এ ছাড়া তিনি ইউএনডিপি এবং ইউএনএফপিএ-তে কাজ করেছেন। তিনি অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, চীন, জাপান, তুরষ্ক, বেলজিয়াম, হল্যান্ড, জার্মানী, কাতার, মালয়েশিয়া, সিংগাপুর এবং ভারত প্রভৃতি দেশ ভ্রমণ করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং এক পুত্র সন্তানের জনক।