বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নিহত, আহত, নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্য-প্রমাণ The Liberation movement of Bangladesh a section of fanatic communal group of people- Al-Shams, Al-Badr forces were created, who with the instruction and instigation discriminately started to murder considerable number of intellectuals, some of whome were scientists, scholars and philosofers of international repute. After the Liberation of Bangladesh many of such mass-graves are being discovered from different places of Bangladesh (one of which were found only recently, in 1999, at an old well beside a mosque at Dhaka). বিশ্বের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ততম সময়ের স্বাধীনতাযুদ্ধে, মাত্র ৯ মাসের মধ্যে, ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১, বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে। এ যাবৎ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম (মিডিয়া) ও গবেষণা গ্রন্থে প্রাণহানির যে সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে সেটার প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, সে সংখ্যা ২০ লক্ষ থেকে ৩০ লক্ষের মধ্যে। এই প্রাণহানি একটিমাত্র শব্দ দিয়ে প্রকাশ করা যায়, সেটি হলো গণহত্যা (GENOCIDE)। Sheikh Mujibur Rahman took up the responsibility of head of the state immediately after he came back to newly independent Bangladesh, after he was released from Pakistan. Among many new ordinances, directives and instructions, one of the most important directive he issued was that people were instructed to send information of all martyred, wounded and missing persons of the country. শেখ মুজিবুর রহমান বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করে এই নবীন রাষ্ট্রের কর্ণধারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। অন্যান্য অনেক নতুন অধ্যাদেশ, বিধিমালা ও নির্দেশনার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ ছিল মুক্তিযুদ্ধে সারা দেশে নিহত, আহত এবং নিখোঁজ সকল ব্যক্তির সম্পর্কে তথ্য সরকারকে অবহিত করতে হবে। সরকার সমগ্র ঘটনার একটি সমন্বিত তালিকা প্রণয়নের লক্ষ্যে এ আদেশ দেয়। Accordingly, a printed envelope, with the text ‘Information of the Martyred, Wounded and Missing persons during Libreration War of Banglasdesh’ imprint. The envelope also have payee’s address ‘Prime Minister’s Secretariat/ Eden Buildings/ Dhaka-2/Bangladesh’ printed on it. A form was also introduced with it, which is to be filled in and sent by post. After inspecting the form, it was found that 200, 000 copies were printed from Government Press. এ সময় একটি খাম ছাপানো হয়, যাতে লেখা ছিল, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নিহত, আহত ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্য।’ এই খামে প্রাপকের ঠিকানাও দেওয়া ছিল, ‘প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়, ইডেন বিল্ডিং, ঢাকা ২, বাংলাদেশ।’ একটি ছাপানো ছকও সরবরাহ করা হয়, যা পূরণ করে উক্ত খামে করে পাঠাতে হবে। একজন ডাকটিকিট সংগ্রাহকের নিকট থেকে পাওয়া একটি ফরম পরীক্ষা করে দেখা গেছে উক্ত খাম দুই লক্ষ ছাপা হয়েছিল। The form include: Name of Martyred, Wounded and Missing persons, permanent address, age, occupation, detail description of the family, which should include, father, mother, husband, wife, son, daughter and/or names of the sufferers, present address, relation with the martyred, wounded and missing person, age, qualification. The form would have to be authorised by local leader and then the name and address of the applicant. It can be seen from the form that the form was supplied from the Prime Minister’s Secretariat and initially twenty million copies were printed and distributed (বাঃসঃমুঃ ৭১/৭২-১৭৩৫এইচ). ছাপানো ছকটিতে ছিল: নিহত, আহত, নিখোঁজ ব্যক্তির নাম, বয়স, স্থায়ী ঠিকানা, পরিবারের বিবরণ, এতে দিতে হবে, বাবা, মা, স্বামী, স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, এবং/অথবা ক্ষতিগ্রস্তের নাম, বর্তমান ঠিকানা, নিহত, আহত, নিখোঁজ ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক, বয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতা। ছকটি স্থানীয় নেতার প্রত্যয়ন থাকতে হবে এবং আবেদনকারীর নাম ও ঠিকানা। ছকটি প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ে পাঠাতে হবে। জানা যায়, প্রথম পর্যায়ে এই ছকটি দুই লক্ষ কপি ছাপা হয়েছিল।
জন্ম ৪ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬, যশোরে। স্কুল জীবন (১৯৫৩-১৯৬৫) কলকাতায় পিতার চাকুরীসূত্রে, কলেজ জীবন (১৯৬৫-৬৯) যশোরে। স্নাতক পাশ করার পর মুক্তিযুদ্ধের কারণে স্নাতকোত্তর শেষ করতে পারেননি। প্রায় এক দশক সমাজসেবায় আত্মনিয়োগ করার পর ১৯৮০ সালে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করে শিক্ষা, প্রশাসন, প্রকাশনা, সম্পাদনা, অনুবাদ, সমন্বয়, জনসংযোগ বিভিন্ন পেশায় ও দায়িত্বে ছিলেন দীর্ঘ ত্রিশ বছর। সিদ্দিক মাহমুদ অনুবাদকর্মে দেখিয়েছেন অসামান্য দক্ষতা। এ যাবত অনুবাদ করেছেন প্রায় তিন হাজার বাংলা কবিতা, প্রকাশিত হয়েছে পঁচাত্তরটি গ্রন্থ। এছাড়াও তাঁর রয়েছে বেশ কয়েকটি গবেষণাগ্রন্থ, উপন্যাস, স্মৃতিকথা, গল্পগ্রন্থ ও কবিতার বই।