ড. খুরশিদ আলম রচিত সমাজ গবেষণা পদ্ধতি বইটি বাংলাদেশের সমাজ গবেষক এবং শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন অনুযায়ী রচিত হয়েছে । এই বইতে সমাজ গবেষণার সর্বশেষ পদ্ধতিসহ সকল স্বীকৃত পদ্ধতি সম্পর্কে ব্যাপক আলোচনা করা হয়েছে। এ ছাড়া বইটিতে কয়েকটি ব্যতিক্রমী বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে–– কীভাবে ভালো গবেষক হওয়া যায়, সমাজ গবেষণা করতে গেলে কী ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, সমাজ গবেষকরা সচরাচর কী ধরনের ভুল করে থাকেন, সমাজ গবেষণার সূক্ষ্ম কিছু বিষয়, কীভাবে আন্তর্জাতিক জার্নালে সহজে গবেষণার ফল প্রকাশ করা যায় ইত্যাদি। বিদেশি বইয়ের সাথে বর্তমান বইয়ের তফাত হলো এই যে, সেগুলো প্রধানত তত্ত্ব বা বিষয়নির্ভর–– যাতে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট স্থান পায়নি। বর্তমান সংস্করণে কতিপয় উল্লেখযোগ্য বিষয় সংযোজন ছাড়াও পুরোনো বিভিন্ন বিষয়কে পরিবর্তন, পরিবর্ধন এবং সংশোধন করা হয়েছে। সমাজ গবেষকদের জন্য এ সংস্করণ পূর্ববর্তী সংস্করণের চেয়ে আরো বেশি উপযোগী হবে। বইটি দেশের বাইরে বিশেষ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও অনেকের কাছে বেশ সমাদৃত হয়েছে । আশা করা যায়, এই বইটি সমাজ গবেষণা পদ্ধতি সম্পর্কে পাঠকের আরো বেশি কৌতূহল মেটাতে সক্ষম হবে।
ড. খুরশিদ আলম দক্ষিণ এশিয়ার একজন বিশিষ্ট সামাজিক বিজ্ঞানী যাঁর সমাজ ও উন্নয়ন সম্পর্কে একাধিক তত্ত্ব রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় যে কয়েকজন সমাজবিজ্ঞানীর গুরুত্বপূর্ণ তাত্ত্বিক অবদান রয়েছে তিনি তাঁদের মধ্যে অন্যতম। তিনি ১৯৮০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে এমএসএস এবং ১৯৮৫ সালে ভারতের পুনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রেকর্ড সময়ের মধ্যে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। স্বল্প সময়ের জন্য তিনি মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যা- লয়ে শিক্ষকতাও করেছেন। তিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটি- উট অব্ সোশ্যাল রিসার্চ ট্রাস্ট-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়াও তিনি তিনটি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি থিসিস পরীক্ষক। নিউইয়র্ক ও লন্ডনের পৃথিবী বিখ্যাত কয়েকটি পাবলিশার্স থেকে তাঁর বই এবং বইয়ের অধ্যায় প্রকাশিত হয় । তাঁর কয়েকটি গবেষণা প্রবন্ধ আর্ন্তজাতিক বিখ্যাত জার্নালে বিভিন্নভাবে সেরা প্রবন্ধের মর্যাদা পায়।