শায়খ ইসাম ইবনে সালিহ ইবনে মুহাম্মাদ আল ওয়াইয়িদ। রিয়াদে অবস্থিত “মুহাম্মাদ ইবনে সাউদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়”-এর শিক্ষা পরিষদের তিনি একজন সদস্য। “আন্তর্জাতিক তাদাব্বুরে কুরআন সংস্থার” অন্যতম কর্মকর্তাও তিনি।বিদগ্ধ এ শায়খ বক্ষমান কিতাবটি লিখেছেন সাধারণ মুসলিমদের জন্য। যারা বিশ্বাস করেন কুরআন অনুধাবন হচ্ছে কুরআন নাযিলের সবচেয়ে বড় ও মৌলিক উদ্দেশ্যসমূহের একটি এবং আত্নার পরিশুদ্ধি, মনের প্রশান্তি ও আল্লাহর কালামের স্বাদ গ্রহনের এটাই পথ ও পদ্ধতি। কারণ, কুরআন অনুধাবন শুধু মসুলমানই নয; অমুসলিদের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ। মুমিন মাত্রই কুরআনকে ভালোবাসে, হৃদয়ের গভীরে লালন করে। আমরা কুরআনের ভালোবাসাকে তিলওয়াত, শ্রবণ কিংবা শুধু স্পর্শ ইত্যাদি.... বিভিন্নভাবে প্রকাশ করি।কিন্তু আমাদের নির্জীব হৃদয় কখনো কুরআন অনুধাবনের চেষ্টাও করে না, কল্পনাও করে না্। অথচ ইরশাদ হয়েছে- “আছে কি কোন চিন্তাশীল অনুধাবনকারী?” [সূরা কমার: আয়াত নম্বর ১৬] কুরআনুল কারিম তিলাওয়াত, অনুধাবন ও হৃদয়াঙ্গম সবই আপন আপন জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ । তবে অনুধাবনের পর তিলাওয়াতে যে স্বাদ ও তৃপ্তি মেলে তা বলে বুঝাবার মতো নয়! কুরআন অধ্যয়ন ও অনুধাবন আমাদের ব্যাক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় তথা জীবনের সকল ক্ষেত্রে কত যে অপরিহার্য্য তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শায়খ ইসাম ইবনে সালিহ-এর রচিত কিতাবে যার বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে।