"আমার একাত্তর" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ভাসাভাসা ধারণা রাখলেও স্পষ্ট ধারণা নেই অনেক মানুষের। তারা জানেন না আমাদের বীরশ্রেষ্ঠদের নাম, কেন তারা জীবন দিয়েছিলেন, কেন তাদের বীরশ্রেষ্ঠ বলা হয়। স্বাধীনতা দিবস কবে, সেদিন কী হয়েছিল সে সম্পর্কেও অনেকে কিছু জানেন না। বুদ্ধিজীবী দিবস কবে ও কেন পালন করা হয় তাও জানেন না অনেকে। স্বাধীনতার প্রায় অর্ধশত বছর পরেও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে বিশদ ও স্পষ্ট করে না জানাটাকে জাতির লজ্জা হিসেবে দেখা হচ্ছে। পুস্তকের মাধ্যমেই মুক্তিযুদ্ধের অবদানকে ধরে রাখা সম্ভব নয়। এজন্য শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধকে সম্পৃক্ত করতে হবে। বিভিন্ন স্মৃতি চিহ্নগুলাের সঙ্গে পরিচয় করতে হবে। দেশের লাখ লাখ মসজিদ, মন্দির ও অন্যান্য উপাসনালয়েও মুক্তিযুদ্ধের অবদান নিয়ে কোনাে আলােচনা হয় না। বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যেটুকু প্রচার প্রচারণা হচ্ছে সেটি কেবল দিবসকেন্দ্রিক। তরুণ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে দীর্ঘমেয়াদি সারা বছরজুড়ে নানা কর্মসূচি পালন করা প্রয়ােজন বলে মনে করেন সবাই। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের শিকড়, যার উপর দাঁড়িয়ে আমাদের অস্তিত্ব। মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযােদ্ধাদের আত্মত্যাগের বিষয়ে তরুণরাসহ সব বয়সী মানুষের সুস্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে দেশপ্রেম ও দেশের সেবায় এগিয়ে আসবেন সবাই- এমনটাই প্রত্যাশা সব শ্রেণির মানুষের কাছে। আমরা বিশ্বাস করি- বর্তমান প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধ, আমাদের দেশ ও দেশের সংস্কৃতি বিষয়ে জানার আগ্রহ প্রবল। তাদের আগ্রহকে সম্মান জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও ঘটনা সম্পকিত আড়াইশাে প্রশ্ন নিয়ে এই আয়ােজন। আমরা চাই প্রত্যেক বাবা-মা তাঁদের সন্তানকে এই প্রশ্ন এবং এর বাইরে মুক্তিযুদ্ধ সম্পকে কোমলমতি ছেলেমেয়েদের জানার ক্ষেত্রে সহযােগিতা করবেন। পরিশেষে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি ও সকল মুক্তিযােদ্ধাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।
আবদুল হাকিম নাহিদ, লেখক ও একজন সফল উদ্যোক্তা। পনের অক্টোম্বর উনিশশো নব্বই সালে হাতিয়াতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আইন বিষয়ে স্নাতক পড়ার সময় সাপ্তাহিক দ্বীপশিখা দ্বীপশিখা পত্রিকা পত্রিকা প্রকাশনা ও সম্পাদনা করেন এবং একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর শেষে ভিন্ন কিছু করার অভিপ্রায়ে উদ্যোক্তা হওয়ার মিশনে নামেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠা করেন 'দাঁড়িকমা প্রকাশনী'। নিজের একান্ত প্রচেষ্টা, মেধা ও পরিশ্রমের সমন্বয়ে অল্প সময়েই নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বাংলাদেশের শিক্ষিত তরুণ সমাজ, শুধু চাকুরীর পিছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হয়ে বেকারমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলবে- তিনি এই স্বপ্নই দেখেন।