ফ্ল্যাপে লিখা কথা প্রকৌশলী ওয়াহিদউদ্দিন চৌধুরী ১৯৪৫ সালে সিলেট মুরারি চাঁদ কলেজ থেকে বিএসসি পাশ করেন। এরপর ১৯৪৮ সালে ভারতের প্রখ্যাত আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন। অতঃপর ১৯৪৯ সালে পাকিস্তান সরকারের কম্যুনিকেশন ও বিল্ডিং ডিপার্টমেন্ট এর সাবডিভিশনাল অফিসার হিসেবে ফরিদপুর জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ পান। এসময় তিনি ফরিদপুরের রাস্তা-ঘাট-ব্রিজ-কালভার্ট ইত্যাদি অবকাঠামো নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর বাংলাদেশ সরকার তাকে ‘ফরেন এইডেড এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টে’-এর ডেপুটি চিফ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। কাঁচপুর, নয়ারহাট ও শীতলক্ষ্যা ব্রিজ নির্মাণেও ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরীর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তিনি ১৯৮২ সালে অতিরিক্ত প্রধান ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কর্মরত অবস্থায় স্বেচ্ছায় অবসর নেন।
এরপর একটি বেসরকারি সংস্থায় বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। স্বনামখ্যত লেখিকা সায়েমা চৌধুরী তাঁর স্ত্রী। তাঁর দুই পুত্র ও এক কন্যা। পুত্রদের মধ্যে ওয়াজিউদ্দিন চৌধুরী সাউদ তাঁর বিশেষ কৃতিত্বের জন্য আমেরিকার েইনস্টিটিউটি অফ আর্কিটেকচার (AIA) দিয়ে তাকে বিশেষ ভাবে সম্মানিত করে। দ্বিতীয় পুত্র মসিউদ্দীন আয়াজ চৌধুরী গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজিস্ট হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে কর্মরত। এবং কন্যা লালা রোখসার অস্ট্রেলিয়ান সরকারের একটি সংস্থায় কর্মরত।