“শিখন-শেখানো দক্ষতা ও কৌশল (বিষয় কোড- ৮১২২০৩)" বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ এর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যের ১১নং উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হলাে- “বিশ্বপরিমন্ডলে বিভিন্নক্ষেত্রে সফল অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শিক্ষার বিভিন্ন পর্যায়ে ও বিষয়ে উচ্চমানের দক্ষতা সৃষ্টি করা। উল্লিখিত নির্দেশনা বিবেচনায় নিয়ে টিচিং কোয়ালিটি ইমপ্রুভমেন্ট (TQI-I SEP) প্রকল্পের সহায়তায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে ব্যাচেলর অব এডুকেশন (বি.এড) কোর্সের নতুন কারিকুলাম প্রগ্রন ও বাস্তবায়ন করেছে। নতুন এই কারিকুলামের প্রথম সেমিস্টারের একটি গুরুত্বপূর্ণ আবশ্যিক বিষয় হলাে: শিখন-শেখানাে দক্ষতা ও কৌশল (Teaching-Learning Skills and Techniques, কোড: ৮১২২০৩), যা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও সময়ােপযােগী। টেকসই ও গুণগত শিক্ষার (Sustainable and Quality Education) জন্য প্রয়ােজন দক্ষ, শিক্ষা বিজ্ঞানে লজ্ঞান সম্পন্ন, প্রযুক্তি ব্যবহারে সক্ষম উদ্যমী শিক্ষক। শিক্ষকের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হলাে অসমমেধা ও চাহিদা সম্পন্ন (Heterogeneous merits and needs) শিক্ষার্থীদের জন্য কার্যকর পদ্ধতি ও কৌশল খুঁজে বের করে শ্রেণিকক্ষে সেগুলাের প্রয়ােগ করা যেন সকল শিক্ষার্থী সমভাবে শিখতে পারে। এ ধরনের শিক্ষকের শিক্ষক যােগ্যতা, আন্তঃব্যক্তিক ও যােগাযােগ দক্ষতা, শ্রেণিকক্ষ ব্যবস্থাপনা, শিখন-শেখানাে দক্ষতা ও কৌশল ব্যবহারে দক্ষতা, উপকররে সুষম ব্যবহার এবং পেশাদারী মনােভাব ইত্যাদির উপর দখল থাকা আবশ্যক। এলক্ষ্যেই, কারিকুলামে প্রদত্ত বিষয়বস্তুর ভিত্তিতে সর্বশেষ উদ্ভাবিত জ্ঞান, দক্ষতা, তত্ত্ব, তথ্য ব্যবহার করে শিখন-শেখানাে দক্ষতা ও কৌশল বইটি রচনা করা হয়েছে।
ড. ডি. এম. ফিরোজ শাহ্, জন্ম ০১ আগস্ট ১৯৬৯, কুতুবপুর, শিবচর, মাদারীপুরে। স্বনামধন্য চিকিৎসক পিতা ডা. মমিন উদ্দিন আহমেদ এবং মা রহিমা বেগমের ষষ্ঠ সন্তান তিনি। পেশা অধ্যাপনা। বর্তমানে তিনি সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, ঢাকায় কর্মরত রয়েছেন। একজন শিক্ষক প্রশিক্ষক হিসেবে দেশব্যাপী সুখ্যাতি থাকলেও ভালো লাগে নজরুলের দুরন্তপনা, শরৎচন্দ্রের বোহেমিয়ান জীবন, বুদ্ধদেবের নিসর্গ আর সৈয়দ মুজতবা আলীর দেশ ভ্রমণ। এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকার বহু দেশসহ বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ঘুরে বেড়িয়েছেন। মধ্যরাতের সুনসান নিরবতা আকর্ষণ করে প্রবলভাবে, খরতাপে ভিজতে ভালো লাগে, পাহাড়ের উচ্চতা আশা জাগায়, সমুদ্রের গভীরতা ভাবতে শেখায়। নদী-নারী-প্রকৃতি এ নিয়ে তাঁর কৃতি। মানব-মন, দ্বন্দ্ব, সংঘাত, প্রেম, ঈর্ষা আর আশা এ সবের প্রতি নিগূঢ় ভালোবাসা। নানা ধরনের রচনার সংখ্যা প্রায় ৪০টি। ১৯৯৬ সাল থেকে একাডেমিক গ্রন্থ রচনায় নিয়োজিত রয়েছেন। তাঁর বই জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্বদ্যিালয় ও সরকারের টিকিউআই প্রকল্প কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। মিতা ট্রেডার্স থেকে প্রকাশিত বিএড কর্মসূচির আলোচিত বইসমূহ হলো- ভূগোল শিক্ষণ, মাধ্যমিক শিক্ষা, শিখন-শেখানো দক্ষতা ও কৌশল, শিক্ষায় গবেষণা ইত্যাদি। আগামী প্রকাশনী থেকে ২০০৬ সালে প্রকাশিত হয় আলোচিত গল্পগ্রন্থ হৃদয়ে রক্তক্ষরণ এবং ২০০৭ সালে ইরাবতী। ২০১৯ সালে তাঁর আলোচিত ভ্রমণ কাহিনী ফিলিপাইন: রহস্যঘেরা এক মায়াবী দ্বীপরাষ্ট্র, ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাসংক্রান্ত কর্ম নিয়ে গবেষণামূলক গ্রন্থ বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শন, ২০২১ সালে উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ দশ রাজনীতিবিদ, ২০২২ সালে উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও গারো পাহাড়ের খোঁজে (ভ্রমণ কাহিনি) আগামী প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়।