'ম্যাজিক ডায়েরি'তে কী আছে? 'ম্যাজিক ডায়েরি' তে কোন সফলতার গল্পগাঁথা নেই, কোন স্বপ্ন দেখানো হয়নি, গৎবাঁধা মোটিভেশন কিংবা সাফল্যের গোপন সূত্র নেই। সোজা কথায়, এই বইটি পড়লে বা লিখলে কেউ সফল হবে- এই দাবী কোনভাবেই করা যাচ্ছে না। কোন উপদেশ কিংবা বিখ্যাতদের উক্তিও নেই এখানে, পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার কোন কৌশল বা জীবন পরিচালনার নির্দেশনাও নেই এতে। তাহলে কি আছে- হাইস্কুলের ছেলেমেয়েরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ভালো চাকুরি, ব্যাংকার এসব চায় না; তারা জীবন নিয়ে খেলতে চায়। ফ্যান্টাসী ও প্যাশনকে নেড়েছেড়ে দেখতে চায়। তাদের সুন্দর স্বপ্ন আছে। তা হতে পারে ছবি আঁকা, মহাকাশে যাওয়া, ফ্যাশন ডিজাইনিং, মডেলিং, গায়ক, ফিল্ম ম্যাকিং, ফটোগ্রাফার, খেলোয়াড়, গেমার, ডিবেট, বিভিন্ন ক্লাব এসব। তারা এই বয়সে টাকা কোথায় থেকে আসবে, এটা জানতে চায় না। তারা একটু নিজেদের বয়সে ঘুরতে পছন্দ করে, সেটা পাহাড় হোক, নদী হোক কিংবা বাড়ির উঠোনের ফুলের বাগান হোক। এই বইতে তাদের স্বপ্নের জগৎটাকে তাদের মতো করে তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের মনের ভেতর অজানা অনেক প্রশ্ন ঘুরপাক খায়, অনেক কৌতূহল, অনেক বিষয়ে জানার আগ্রহ নিয়ে তারা বড়দের কাছে জানতে চায় কিন্তু তাদের সেসব ছোট ছোট প্রশ্নের উত্তর বড়’রা এড়িয়ে যেতে চান কিংবা ঠিকঠাক উত্তর দিতে চায় না; এরকম কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে সহজভাবে। শিশু-কিশোরেরা অনেক কিছু বড়দের জানাতে চায়, অনেক মজার স্মৃতি অন্যদের সাথে শেয়ার করতে চায়, মনের ভেতর লুকানো কষ্টগুলো প্রকাশ করতে চায়, কোন ঘটনা বা দূর্ঘটনা সম্পর্কে বলতে চায় কিংবা নিজের স্বপ্ন, ইচ্ছা বা অনিচ্ছা জানাতে চায় কিন্তু তাদের সেসব বলা হয়ে ওঠে না বড়দের। কারণ অধিকাংশ বাবা-মায়েদের সাথে সন্তানের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ নয়, শিক্ষকদের ভয় পায় এবং বন্ধু-বান্ধবদে রসাথেও মনের সব কথা খুলে বলা যায় না। তাদের সবকথা সহজ কথায় মনের ভেতর থেকে বের করে নিয়ে আসবে ‘ম্যাজিক ডায়েরি’। ‘ম্যাজিক ডায়েরি’ বইটি শুধু পড়বে না, লিখবেও শিশু-কিশোরেরাও আর পড়বেন অভিভাবক। শিশু-কিশোরদের মানসিক বিকাশ ও স্বপ্ন পূরণে অসাধারণ এই বইটি সাহায্য করবে এবং সন্তান ও বাবা-মায়েদের পারস্পরিক বুঝা-পড়া আরো বৃদ্ধি করবে।
আবদুল হাকিম নাহিদ, লেখক ও একজন সফল উদ্যোক্তা। পনের অক্টোম্বর উনিশশো নব্বই সালে হাতিয়াতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আইন বিষয়ে স্নাতক পড়ার সময় সাপ্তাহিক দ্বীপশিখা দ্বীপশিখা পত্রিকা পত্রিকা প্রকাশনা ও সম্পাদনা করেন এবং একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর শেষে ভিন্ন কিছু করার অভিপ্রায়ে উদ্যোক্তা হওয়ার মিশনে নামেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠা করেন 'দাঁড়িকমা প্রকাশনী'। নিজের একান্ত প্রচেষ্টা, মেধা ও পরিশ্রমের সমন্বয়ে অল্প সময়েই নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বাংলাদেশের শিক্ষিত তরুণ সমাজ, শুধু চাকুরীর পিছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হয়ে বেকারমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলবে- তিনি এই স্বপ্নই দেখেন।