ভূমিকা রংপুর আধুনিক সাহিত্য ও ভাষা-চর্চায় একরকম পীঠস্থানের দাবিদার। আধুনিককালের তিন প্রধান গদ্যকারের কথা মনে না পারে না। তারা হলেন ‘কাব্য জিজ্ঞাসা’র অতুলচন্দ্র গুপ্ত, ‘সবুজ কথা’র সুরেশচন্দ্র চক্রবর্তী, ‘মানময়ী গার্লস স্কুল’-এর রবীন্দ্রনাথ মৈত্র।সেই রংপুর থেকে আবু মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক ‘মমন সাহিত্য চর্চা’ প্রবন্ধ গ্রন্থ নিয়ে পাঠকদের দরবারে উপস্থিত হন ১৯৭৪ সালে।‘দৈনিক বাংলা’ ও ‘দৈনিক সংবাদ’-এর তাঁর প্রবন্ধ পত্রস্থ হতে থাকে। তাঁর প্রগতিশীল ভাবনা তাঁকে ক্রমাগত এগিয়ে নিতে থাকে। একজন নিষ্ঠাবান লেখক হিসেবে তাঁর খ্যাতি এসে যায় পাঠক মহলে।তাঁর দ্বিতীয় প্রবন্ধ সম্ভার ‘সাহিত্য শিল্প সংস্কৃতি : বৈঠকী বিচার’ সম্যক পরিচিতি এনে দেয় প্রবন্ধকারের। গুণীজনদের মধ্যে রণেশ দাশগুপ্ত’র স্নেহভাজনে হয়ে ওঠেন এই নতুন লেখক। এই লেখকের ‘চেনা অচেনা রবীন্দ্রনাথ’ সাহিত্যিক মহলে তাঁর সমাদর বাড়িয়ে দেয়। সত্যিই তো বাঙালি মানসের কাছে রবীন্দ্রনাথ অনেকখানি অচেনা। ধর্মান্ধ জাতিকে তিনি মানষ করার প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন। যক্তিবাদবিমুখ জাতির কাছে রবীন্দ্রনাথ আজো অচেনা রয়ে গেছেন-হায়রে দুর্ভাগা জাতি। ধন্যবাদ আবু মোহাম্মদ মোজাম্মেল হককে ‘অচেনা’ শব্দটি ব্যবহারের জন্য। ‘যাদের অন্তর্লোকে একাত্তর জ্বলছে’ বাক্যবন্ধটি স্বাধীনতার পক্ষে সকলের হৃদয়ের উচ্চারণ। লেখক স্বাধীনতার বীর সন্তানদের কীর্তিগাথা তুলে ধরেছেন।তিনি তাঁর কর্তব্য পালন করেছেন। জাতীয় চরিত্র নির্মাণে সহায়ক হোক তাঁর সাধু প্রচেষ্টা। জাতির শত্রুদের শনাক্ত করতে শিখুক নতুন প্রজন্ম। সার্থক হোক লেখকের শ্রম। কায়সুল হক ২৫ জানুয়ারি, ২০০৪
সূচিপত্র *ছোট ছোট তারাদের কথা *একজন অনামি সৈনিকের কথা *এক খণ্ড প্রত্যক্ষ ইতিহাস *একটি অনুচ্চারিত নাম ও একটি কাহিনী *কিছু অলিখিত কাহিনী *যাঁদের অন্তর্লোকে একাত্তর জ্বলছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের এক সংশপ্তক *মুক্তিযুদ্ধে সৈয়দপুর *মুক্তিযুদ্ধে গাইবান্ধা *বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও ভারত প্রসঙ্গ