শীতের হালকা হিমেল রঙিন বিকেল। হালকা মিষ্টি রোদ। আর এই সুন্দর বিকেলে ছেলেরা মাঠে ক্রিকেট খেলছে মনের আনন্দে। এই আনন্দঘন মুহূর্তটি মনের মাধুরী মিশিয়ে উপভোগ করছে মাঠের পাশে আমতলায় বসে বাবুল। কি যে এক গভীর ভাবনায় ভাবের রাজ্যে হাবুডুবু খাচ্ছেন, তা একমাত্র তিনিই জানেন। এদিক সেদিক তাকিয়ে যেন প্রকৃতির এই অপরূপ দৃশ্য আনমনে উপভোগ করছেন। বেলা গড়িয়ে প্রায় সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। ছেলেদের খেলাও প্রায় শেষ। এই মুহূর্তে পিছন থেকে কে যেন বলছে, স্যার আপনি এখানে বসে আছেন; আর আমি আপনাকে খুঁজতে খুঁজতে হয়রান। আজ কয়েক দিন যাবৎ আপনার অপেক্ষায় বসে আছি। এত দিন কোথায় ছিলেন স্যার? কথাগুলো বলতে বলতে লোকটি বাবুলের সামনে এসে চেয়ারটিতে বসল। -কেমন আছেন স্যার শরীরটা ভাল তো? কুশল বিনিময় এবং এরকম আরো অনেক কথা। বাবুল মনে মনে ভাবছেন। লোকটিকে চেনা চেনা লাগছে। সম্পূর্ণ মনে পড়ছেনা লোকটির আসল পরিচয়। যাই হোক বাবুল চেনার ভান করেই লোকটির সকল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে গেলেন। কথার মাঝেই বাবুল আগন্তুক ভদ্র লোকটির পরিচয় পেয়ে গেলেন। হাসি ঠাট্টা অনেক অনেক কথা হল দু'জনের মধ্যে। এরই মধ্যে মাগরিব নামাজের আযান ভেসে আসলো কানে। দু'জনেই নামাজের জন্য মসজিদে চলে গেলেন। ভদ্র লোকটির নাম ইসমাইল হোসেন। সে একজন প্রাইভেট টিউটর। তারা কয়েকজন টিচার মিলে ঠিক করেছেন এলাকায় একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুল প্রতিষ্ঠা করবেন। একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে গেলে লাগবে অনেক কিছু। এর চতুর্মুখী চাহিদা। এ জন্য চাই সুষ্ঠু পরিবেশ, অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী, সু-পরিসর স্কুল প্রাঙ্গন এবং প্রয়োজনীয় খেলার মাঠ। লাগবে চাহিদা মত শিক্ষার্থী, আরো অনেক কিছু।