"দাজ্জাল : কুর’আন ও ইতিহাসের সূচনা" বইয়ের পিছনের কভারের লেখা: চিরস্থায়ী জীবনযাপনের লালসাময় নিষিদ্ধ বৃক্ষের নিকট গমনের উপর ঐশ্বরিক নিষেধাজ্ঞা জারি দ্বারা ইতিহাসের সূচনা ঘটে। এই ইতিহাসের সমাপ্তি ঘটছে পৃথিবীর মঞ্চে আবির্ভূত নতুন অভিনেতার মাধ্যমে, যে পৃথিবী শাসনের অপ্রতিদ্বন্দ্বী উপনিবেশিক লালসা প্রদর্শন করে। ঐ নতুন অভিনেতা এক অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতা ধারণ করেছে এবং ইতোমধ্যে সর্বদিকে ছড়িয়ে পড়া ইয়াজুজ ও মাজুজদের মাধ্যমে উক্ত ক্ষমতা দ্বারা সে পৃথিবীর নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়েছে। এরপর সে ইহুদিদের জন্য পবিত্রভূমিকে মুক্ত করার মিশনে নামে এবং ঐশ্বরিক আজ্ঞাবলে পবিত্রভূমি থেকে দুই হাজার বছরের নির্বাসনের পর, পবিত্রভূমিতে তারা নিজেদের অধিকারের দাবি নিয়ে ফিরে আসে এবং পবিত্রভূমিতে ইসরাইলি রাষ্ট্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। ঐ রহস্যজনক নতুন অভিনেতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্যাক্স আমেরিকা’-কে [আমেরিকান সাম্রাজ্যকে] ইসরাইলের ‘প্যাক্স জুডাইকা’ [ইহুদি সাম্রাজ্যের] মাধ্যমে প্রতিস্থাপিত করতে যাচ্ছে। ইসলামি এসক্যাটলজির আলোকবর্তিতাস্বরূপ এই গ্রন্থ উক্ত আজব ও রহস্যজনক নতুন অভিনেতাকে সনাক্ত করেছে, যে শেষ সময়ে পৃথিবীর মঞ্চে কেন্দ্রীয় চরিত্র দখল করে আছে এবং যে আধুনিক পশ্চিমা সভ্যতাকে জন্ম দিয়েছে – সে হচ্ছে: ভন্ড মসিহ দাজ্জাল।
আমরা কি কুর’আন ব্যবহার করে আধুনিক যুগকে উপলব্ধি ও ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবাে, নাকি ইতিহাসে যা কিছু ঘটে গেছে এবং আগামীকাল কি ঘটতে যাচ্ছে সেটার অন্ধকারেই রয়ে যাবাে। যেগুলাে আগের যুগে আমাদের সম্মানিত পণ্ডিতগণ লিখে গেছেন, সেগুলিকে একগুয়েভাবে আগলে ধরে রাখবাে, আর নিজেদের জন্য চিন্তা-ভাবনা করার কোন। জায়গাই রাখবাে না? এবং চোখ-কান বন্ধ করে কেবল অতীতের বুলি আওড়াবাে? না, কুর’আন এমন করতে আমাদেরকে কখনাে আদেশ দেয় না, উল্টো কুরআন আমাদেরকে চিন্তার দিগন্ত পাড়ি দিতেও উৎসাহিত করে।
ইমরান নযর হোসেন। ক্যারিবিও দ্বীপপুঞ্জের ত্রিনিদাদে জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪২ সালে। আলিমিয়া ইসলামিক ইনস্টিটিউট (করাচি) থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন এবং পাশাপাশি করাচি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আল-আযহার সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেন সুইজারল্যান্ডের Graduate Institute of International Relations থেকে। দায়িত্ব পালন করেন করাচির আলিমিয়া ইসলামিক ইনস্টিটিউটের প্রিন্সিপাল হিসেবে, ছিলেন করাচির World Muslim Congress-এর রিসার্চ ডাইরেক্টর এবং মিয়ামির Islamic Institute for Education and Research-এর ডাইরেক্টরও। এছাড়াও তিনি ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কূটনীতিক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ইসলাম, সমকালীন রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক বাস্তবতা এবং সর্বোপরি আধুনিক যুগের বাস্তবতা তুলে ধরতে তিনি সত্যিই অনবদ্য। তাঁর গ্রন্থের বিষয়বস্তু বর্তমানে বাস্তবে সত্যে পরিণত হচ্ছে এবং প্রতিনিয়ত তাঁর বক্তব্যকে সত্যায়িত করে চলছে, যা সত্যই তাঁর আধ্যাত্মিক উচ্চতার পরিচয় বহন করে। Jerusalem in the Quran- An Islamic View of the Destiny of Jerusalem তাঁর আলোড়ন সৃষ্টিকারী গ্রন্থ।