শায়খ_যুলফিকার আহমদ নকশবন্দী। একজন বিশ্ববিখ্যাত ইসলামপ্রচারক। হৃদয়জেতা দাঈ। তাঁর লেকচারগুলো এতোটাই হৃদয়ছোঁয়া যে,পাথর হৃদয়ও না গলে পারে না। তাঁর সেই বয়ানগুলো উরদুতে ৩২ খণ্ডের বিশাল কলেবরে প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাভাষী পাঠকদের জন্যে মাকতাবাতুল আযহার অনেক আগেই পুরো ৩২ খণ্ডের বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি মাকতাবাতুল আযহার ৩২ খণ্ডের বিশাল সিরিজের জন্যে একটি দৃষ্টিনন্দন মূল্যবান সুদৃশ্য কার্টুন বানিয়েছে। বইগুলো নিরাপদে বহন ও সংরক্ষণের জন্যে কার্টুনটি বেশ উপকার দেবে। আসুন, আমরা একবার এই বিরলপ্রজ ব্যক্তির সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত জেনে নিই। ইউরোপের সুইডেন, হাঙ্গেরী,ব্রিটেন,জার্মান,নরওয়ে, ডেনমার্ক,ফ্রান্স প্রভৃতি রাষ্ট্রে, এর বাইরে অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকার ২২টি প্রদেশ,মধ্যপ্রাচ্যের সাউদি আরব,মিসরসহ সিঙ্গাপুর,থাইল্যান্ড,মালয়েশিয়া,ভারত, ইন্দোনেশিয়া,বাংলাদেশ,নেপাল,উজবেকিস্তান,তাজিকিস্তান,কাজাকিস্তান,গিরগিস্তান,তাতারিস্তান, রাশিয়া,ইউক্রেন,আফগানিস্তান,সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রে দাওয়াতী সফর করে ইসলাম সম্পর্কে সারগর্ভ আলোচনা করেছেন। সুখের বিষয় হলো, তিনি এখনো জীবিত আছেন। ইউটিউবে তার নাম লিখে সার্চ দিলে তাঁর মূল্যবান বয়ান পাওয়া যাবে। আমরা হযরতের দীর্ঘ হায়াত কামনা করছি। আল্লাহ শায়খের জ্ঞানগর্ভ বয়ান থেকে আমাদের উপকৃত হওয়ার তাওফীক দিন। আমিন।
জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি (জন্ম: ১ এপ্রিল ১৯৫৩) একজন পাকিস্তানি ইসলামি পণ্ডিত এবং নকশবন্দি তরিকার সুফি। তিনি পাঞ্জাব প্রদেশের ‘ঝং’ জেলায় অবস্থিত মাহদুল ফাকির আল ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা। ২০১১ সালে ভারত ভ্রমণ করেন ভারতের হায়দরাবাদের ঈদগাহ বিলালী মনসাব ট্যাঙ্ক ও চঞ্চলগুদা জুনিয়র কলেজে কয়েকটি সম্মেলনে ভাষণ দিয়েছিলেন। তারপরই তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। দারুল উলুম দেওবন্দের মসজিদে রশিদ এবং দারুল উলুম ওয়াকফ দেওবন্দের অনুষ্ঠানেও বক্তব্য রাখেন।