বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা বিশেষ করে হিন্দু জনগোষ্ঠী বিরাট এক বিভ্রান্তির মধ্য দিয়ে জীবন প্রবাহ করে চলেছে।তারা ভিটেমাটির টানে এদেশে রয়ে গেছে ঠিকই কিন্তু তাদের বিরূদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না।অর্পিত সম্পত্তি,রাষ্ট্রধর্ম,সাম্প্রদায়িক শক্তির উথান,নীরব সাম্প্রদায়িকতা,ফেসববুকে উস্কানিমূলক পোস্টিং দিয়ে হামলা চালানো,সম্পত্তি দখল,সুশাসনের অভাব,পুলিশ পাহারায় পূজা-পার্বনাদি করা,এসব নানা কারণে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা নিয়ে তারা দিনানিপাত করছে।যারা দেশত্যাগ করেছে তারাও ভালো নেই।নাগরিকত্ব পায় না,মূল স্রোতের সঙ্গে মিশতে পারে না।দুদিকেই তারা দু শ্রেণীর নাগরিক।ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরাও নিরাপদে নেই।ভূমির অধিকার হারানো,আদিবাসি পরিচয়ের স্বীকৃতি না পাওয়া,তাদের প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।সংখ্যালঘুদের একটাই দাবি ,পাকিস্তান আমলে যা হয়েছে,স্বাধীন দেশে কেন তা হবে!১৯৭১-এ দেশ স্বাধীন হলে তারা ভারতে শরনার্থী জীবন ছেড়ে দলে দলে উল্লাস করে দেশে ফিরেছিল।এখন দেশ ছাড়ছে একাকী নীরবে,রাতে আঁধারে। ওদিকে মিয়ানমার থেকে রাখাইনের রোহিঙ্গারা বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে শরনার্থী জীবন-যাপন করছে।দেশে ফেরা তাদের অনিশ্চিত,ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম সংখ্যালঘুরা তুলনামূলক কিছুটা ভালো আছে কিন্তু আসামে সদ্য নাগরিকত্ব হারানোর দুশ্চিন্তায় আছে।সব মিলিয়ে এ ভূখণ্ডে সংখ্যালঘু ,উদ্বাস্তু,শরণার্থীরা ভালো নেই।টানাপোড়নে এক কঠিন জীবন তাদের।মানবতার এ অবদমনের দায় মানুষ এড়াতে পারে না।