‘রাসূলের চোখে দুনিয়া’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ দুনিয়া এক রহস্য-ঘেরা জায়গা! এখানে মানুষ আসে। শৈশব, কৈশোর ও তারুণ্যের সিঁড়ি বেয়ে বার্ধক্যে পৌছে। তারপর হঠাৎ একদিন চলে যায়। এই স্বল্পতম সময়ে দুনিয়াবি সফলতার চাবি অর্জনে মানুষ সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠার সংগ্রাম করে; অথচ সে জানে না উপরে উঠতে গিয়ে সে কতটা নিচে নেমে যাচ্ছে! দুনিয়ার সাথে আমাদের সত্যিকার সম্পর্ক কী? দুনিয়ার ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হওয়া উচিত? প্রকৃত সফলতা কিসে? নাবি-রাসূলদের জীবন ও বক্তব্য থেকে এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে পড়ুন সাড়ে এগারো শত বছর পূর্বে রচিত এক মহামূল্যবান গ্রন্থ ‘কিতাবুয যুহদ বা রাসূলের চোখে দুনিয়া। বিষয়সূচী অনুবাদকের কথা ২৬ লেখক পরিচিতি ….৩০ বহুল-ব্যবহৃত আরবি বাক্যাংশের অর্থ....৩২ মুহাম্মাদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও দুনিয়া….৩৩ মাসজিদে আসা-যাওয়ার গুরুত্ব ......৩৩ সারারাত ঘুমে কাটিয়ে দেয়ার নিন্দা....৩৩ রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সালাতের ধরন ........৩৩ রুকু ও সাজদায়তিনি যেসব তাসবীহঅধিক পরিমাণে পাঠকরতেন...............৩৪ রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ইয়াহূদির নিকট নিজের বর্ম বন্ধক রেখে খাবার কিনেছিলেন …৩৪ তাঁরআচরণ ,................৩৪ ঘরে তিনি যেসব কাজ করতেন...........৩৪ ইন্তেকালের সময় রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর রেখে যাওয়া সম্প ......................৩৫ তিনি কখনো কোনো খাবারের দোষ অন্বেষণ করতেন না.......৩৫ কেউ কোনো কিছু চাইলে তিনি কখনো ‘না’বলেননি................................৩৫ তাঁর গৃহে কখনো কোনো সন্ধ্যায় এক সা পরিমাণ শস্যকিংবা খেজুর ছিলনা ......৩৬ এক ইয়াহূদির নিমন্ত্রণে নাবি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাড়া দিয়েছিলেন ......................৩৬ দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তাঁর নিকট কোনো খেজুর ও পানি ছিল না.........৩৬ তাঁর গৃহেকখনো কখনো একমাস পর্যন্ত কোনো রুটি বানানো হয়নি.....৩৭ দাস যেভাবে বসে খাবার খায়, তিনিও সেভাবে খাবার খেতেন......৩৭ দীর্ঘদিন তিনি পেটভরে উষ্ণ খাবার খাননি….৩৭ তিনি বিলাসী পানীয় পরিহার করেছেন........৩৮ বিলাসিতা থেকে দূরে থাকার নির্দেশ....৩৮ নাবি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জামার আস্তিনের দৈর্ঘ্য ............৩৮ তিনি এক সাহাবির জামার দীর্ঘ হাতা কেটে দেন…..৩৮ তিনি যেসব পোশাক পরতেন না............৩৯ রাসূলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ইন্তেকালের সময় রেখে যাওয়া সম্পদের বিবরণ…..৩৯ ছবি-সজ্জিত ঘরে নাবি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রবেশ করেননি.......৪০ পোশাকের দীনতা ঈমানের অংশ...৪০ আহলুস-সুফফার সাহাবিদের কাপড়ের টানাপড়েন.................৪০ নাবি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রীগণ উলের বস্ত্র পরিধান করতেন..৪১ সফরে কয়েকজন সিয়ামহীন সাহাবির প্রশংসায় নাবি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)..........৪১ নাবি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতিদিন একশত বার ক্ষমা প্রার্থনা ও অনুশোচনা করতেন .........৪১ দুনিয়ার জীবন গ্রীষ্মকালীন সফরের খানিক বিরতির চেয়ে বেশি কিছু নয় .........৪২ যেটুকু প্রয়োজন সেটুকু খাবারের জন্য আল্লাহর নিকট দুআ ................৪২ জীবনের নিগূঢ় রহস্য জানতে পারলে মানুষ অল্প হাসততা ও অধিক কাঁদতো.........৪২ আগামীকালের জন্য খাবার মজুদকরার উপর নিষেধাজ্ঞা ......................৪২ নাবি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কাঠবাটিনের গোল পাত্রে খাবার খেতেন ৪৩ আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণ ও ন্যূনতম জীবনোপকরণে পরিতৃপ্তিই সফলতার .................. ৪৩ নাবি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্লেটে কখনো কোনো খাবার অবশিষ্ট থাকতোনা...................88 দুনিয়াতে অপরিচিত ব্যক্তি কিংবা মুসাফিরের ন্যায় জীবনযাপনকরা উচিত .......৪৪ আগামীকালের অপেক্ষায় না থেকে সময়কে কাজে লাগানো উচিত ...............৪৪ জান্নাতবাসীর মৃত্যু নেই.....৪৪ নাবি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ভালো খাবার একলা খেয়ে তৃপ্ত হতেন না ৪৫ কৃপণতানাকরার উপদেশ........ ৪৫ কয়েকটি সূরার ভারী নির্দেশনাবি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বুড়ো বানিয়ে দিয়েছিল....৪৫ আল্লাহর ভয়ে কান্নাকাটি করার চক্ষু লাভের জন্য দুআ........................... ৪৫ পরিচায়ক ....................... ৪৫ অনুবাদক পরিচিতিঃ জিয়াউর রহমান মুন্সী। জন্ম ১৯৮৪ সালে, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানায়। ৫ম শ্রেণিতে বৃত্তি পেয়ে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষা লাভ করেন। তারপর হিফজুল কুরআন সম্পন্ন ও কওমি নেসাবের বিভিন্ন স্তর অতিক্রম করে আলিয়া মাদ্রাসায় কামিল শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন। আলিম পরীক্ষায় সম্মিলিত মেধাতালিকায় ২য় স্থান, ফাজিল পরীক্ষায় ১৪তম স্থান অর্জনসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণি পেয়ে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। বর্তমানে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। মাতৃভাষার পাশাপাশি আরবি ইংরেজি উর্দ ও ফার্সি ভাষায় সমান পারদর্শী এ তরুণ গবেষক। বিভিন্ন ভাষায় লেখা ইসলামের কালজয়ী গ্রন্থাবলি বাংলা ভাষাভাষী পাঠকদের সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যে এখন তিনি ফ্রেঞ্চ, জার্মান ও ল্যাটিন ভাষা আয়ত্ত করার সাধনায় নিরত। বক্ষ্যমাণ অনুবাদ গ্রন্থটি ছাড়াও তার অনুদিত গ্রন্থাবলির মধ্যে রয়েছে : “মাযহাব : অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ”, সিয়ান পাবলিকেশন ২০১৪; “কুরআন বোঝার মূলনীতি”, সিয়ান পাবলিকেশন ২০১৬; ও “হাদীস মূল্যায়ন পদ্ধতি, সিয়ান পাবলিকেশন (প্রকাশিতব্য)। বর্তমানে তিনি ‘মিফতাহু কুনূযিস সুন্নাহ (হাদীস ভান্ডারের বিষয়-নির্দেশিকা)-গ্রন্থের অনুবাদ ও বাংলা ভাষায় একটি বৃহদায়তন প্রামাণ্য ও সমন্বিত সীরাত গ্রন্থ প্রণয়নের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আলাহ তার কাজে সহায় হোন! আমীন! প্রকাশক "সাহাবিদের চোখে দুনিয়া" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: নবি-রাসূলগণ যেই দৃষ্টি নিয়ে দুনিয়াকে দেখতেন তা সবচেয়ে বেশি যারা মনে প্রাণে আত্মস্থ এবং উপলব্ধি করেছিলেন তারা হচ্ছেন সাহাবা রাদিয়াল্লাহু আনহুম আজমাইন। আমাদের প্রিয় নবি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেই গিয়েছেন উম্মতের সেরা প্রজন্ম হচ্ছেন নবির সাহাবারা। উম্মতের সেরা প্রজন্ম হিসেবে, কী এমন দৃষ্টিভঙ্গি তারা লালন করতেন যে দুনিয়াতে থাকা অবস্থায়ই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাদেরকে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছিলেন। ১৪০০ বছর পরে আজকের এই যুগে আমরা যদি ইসলামকে উপলব্ধি করতে চাই তবে অবশ্যই জানতে হবে সাহাবিরা ঠিক কোন চোখে এই দুনিয়াকে দেখেছেন, কোন দৃষ্টিভঙ্গির কারণে দুনিয়া ও আখিরাতে সফলদের অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। নবি-সাহাবিদের চোখে এই দুনিয়া ঠিক কেমন ছিল এই বিষয়কে কেন্দ্র করে সালাফদের মাঝে যারা কিতাব রচনা করে গিয়েছেন তাদের মাঝে ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বাল অন্যতম। তার রচিত সাড়ে এগারো শত বছর পূর্বের "কিতাবুয যুহদ" এর অনুবাদ হিসেবে মাকতাবাতুল বায়ান থেকে ইতোপূর্বেই প্রকাশিত হয়েছে প্রথম খন্ড "রাসূলের চোখে দুনিয়া"। তারই ধারাবাহিকতায় এবার আসছে দ্বিতীয় পর্ব "সাহাবিদের চোখে দুনিয়া"। এই খন্ডে বিখ্যাত সাহাবিদের জীবনের দৃষ্টিভঙ্গি জানার পাশাপাশি জানা যাবে, দুনিয়াকে কোন চোখ দিয়ে দেখার মাঝে এই উম্মতের সফলতা, দুনিয়া এবং আখিরাতের কল্যাণ নিহিত সেই রুপরেখা।
"সাহাবিদের চোখে দুনিয়া" বইয়ের বিষয়সুচি:
Title
রাসূল (সাঃ), সাহাবি এবং সালাফিদের চোখে দুনিয়া সম্পর্কিত ৩টি বই
যে-কয়জন প্রতিভাবান তরুণ বাংলাদেশে ইসলামি অঙ্গনে জ্ঞান ও দক্ষতায় আলো ছড়াচ্ছেন, আব্দুস সাত্তার আইনী তাদের অন্যতম। তিনি ১৯৯৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। দেশের শীর্ষস্থানীয় কওমি মাদরাসা জামেয়া রহমানিয়া আরাবিয়া তাকমিল পাশ করেছেন এবং একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শান্তি ও সংঘর্ষ বিষয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি সহ-সম্পাদক হিসেবে দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশে কাজ করছেন এবং বাংলাদেশ ইসলামিক ল’ রিসার্চ এন্ড লিগ্যাল এইড সেন্টার-এ গবেষক হিসেবে নিয়োজত আছেন।