”অন্তর্গত নিষাদ ও পায়রা রঙের মেঘ”বইয়ের প্রথম ফ্ল্যাপ এর লেখা: হিজল পাতার ঘ্রাণ বুকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে শহর। স্মৃতির নীল ঘুড়ি ম্লান হয়ে ঝুলে থাকে বাতাসের জমিনে। খড়কুটোর জীবন হয় ভােকাট্টা, হাওয়ায় ভাসে। বুকে সমুদ্রের নিনাদ প্রহর বাজায় অবিরত। দিগন্তরেখায় খসে পড়া নক্ষত্র একে দেয় অচিন পাখির চোখ। বিভ্রম দৃষ্টি বিষাদরেখায় কাজল হয়ে ঝুলে রয় অনুক্ষণ। শিশিরে ধােয়া কাঠশালিকের ফ্যাকাশে চোখে জমা হয় পৃথিবীর। সব রঙ। গগনশিরীষের জমিনে কোজাগরীর রাত এঁকে যায় আলতা পায়ের ছাপ। নক্ষত্রের আলাে ফুল হয়ে ঝরে। হেমন্ত হাওয়ায় ভাসে এস্রাজের সুর। সময়ের গহিনে অতলান্তের নীল। লিখে যায় নিত্যপুরাণ। যাযাবর পাখির ঠোট হারিয়ে ফেলে। অজানা জীবনের বীজ। অলৌকিক জীবনের বীজ।। ‘কেন গেলাম জল ভরিবারে যাইতে যমুনা ঘাটে সেখানে ভুলিলাে বাটে আঁধার গরাসিলাে মােরে গুনগুন করে গাইতে গাইতে যখন রাধা বাবার পিছে পিছে বাড়ি যায় তখন পূর্ণিমার মতাে আলাে ছড়ায় রাধা। সে আলােয় অনেকেই অবগাহন করতে চায়। কত কত শুয়ােপােকা সেই আলােতে ঝাপিয়ে পড়ে। এরপর পাখাবিহীন সেই পােকাগুলাে রাধার আলাের তেজে পুড়তে থাকে। দূর থেকে সেই। শুয়ােপােকাদের পুড়তে দেখে একটি দুটি ছায়া গাছের সাথে লেপ্টে যায়। শিবু রােহিদাস একটু পরপর মেয়েকে তাড়া দেয়,। ‘পা চালাতি হবি মা।' রাধা তাড়াতাড়ি হাঁটতে গিয়ে স্যান্ডেলের | ফিতা ছিড়ে ফেলে। আর ঠিক তখনি ওর মনে পড়ে সেই সােনারঙের জুতার কথা।