শেষ পর্বের শুরু –ফ্ল্যাপে লেখা কথা স্ত্রীর অকাল মৃত্যুতে বিপর্যস্ত বিশিষ্ট শিল্পপতি মোহাম্মদ আলমাস খান সিদ্ধান্ত নিলেন মরণোত্তর অঙ্গ দান করবেন; সেই সাথে প্রতিস্থাপনের ব্যয় বহন করবে তাঁর প্রতিষ্ঠান, খান প্রোপার্টিজ। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তিনি বেছে নিলেন নিজের জন্মস্থান - দেওয়ান বাজার। বিশাল ব্যবসা ছেলেদেরকে বুঝিয়ে দিয়ে চলে গেলেন ওখানে। আজাদ নামের এক বেকার যুবককে নিয়োগ দিলেন তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে। আজাদ প্রথমে কাজটাকে বেশ হালকাভাবেই নিল। কিন্তু কিছুদিন যেতেই সে আবিষ্কার করল, বিশাল একটা ক্ষমতা এসে গেছে ওর হাতে। না চাইতেই সে নিজেকে জড়িয়ে ফেলল অপরাধের বেড়াজালে। দৃশ্যপটে এলো এলাকার এমপি, খুনী রাম-দা কালাম, কানা সিরাজুল, পুলিশ-সহ আরও অনেকে। ঘটতে লাগল একের পর এক ঘটনা। গভীর রাতে অস্ত্রধারীদের দ্বারা আক্রান্ত হলো আজাদ ও তার পরিবার। দিন দুপুরে, ব্যস্ত এলাকায় আজাদ আর তার বন্ধু সামসুর উপর আক্রমণ চালাল কয়েকজন মুখোশধারী। কারা ওরা? ওদের উদ্দেশ্যই বা কী? খান সাহেব আজাদকে তাঁর গোপন লকারের কোড দিয়েছেন। পাঁচ কোটি টাকা আছে ওখানে। টাকাটা হাতিয়ে নেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে কেউ একজন। কে সে? কর্নিয়া প্রতিস্থাপন না করলে কিছুদিন পর অন্ধ হয়ে যাবে ফাইয়াজ নামের ছেলেটা। তারপরও সে কর্নিয়া নিতে চাচ্ছে না! কেন? আজন্ম লালিত একটা দুঃখ সে বুকে চেপে রেখেছে। কী সেই দুঃখ? দারোয়ান শের আলী খান সাহেবের মৃত্যুর জন্য এতটা উদগ্রীব কেন? প্রিয়ন্তির সাথে আজাদের সম্পর্কটা কীসের? বন্ধুত্বের, নাকি প্রেমের? কী হবে শেষ পর্যন্ত? আলমাস খানের পরিকল্পনা কি সফল হবে? আজাদ কি পারবে ক্ষমতার প্রভাব থেকে বের হতে? ‘শেষ পর্বের শুরু’ লোভ, বিশ্বাসঘাতকতা, ষড়যন্ত্র, প্রতিহিংসা আর প্রতিশোধের এক অনন্য উপাখ্যান।
পরিচয়টা আমি নিজেই দিচ্ছি। আমার জন্ম ৪ অক্টোবর ১৯৮৪, সিলেট শহরের ভার্থখলা নামের এক মহল্লার ‘বড়বাড়ি’তে। বেড়ে ওঠাও ওখানে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স করেছি সিলেট এম. সি. কলেজ থেকে। উকিল হয়ে ভাব দেখানোর জন্য ল’ কলেজেও ভর্তি হয়েছিলাম, কিন্তু একাধিকবার ব্যর্থ হয়ে কিছুদিনের মধ্যেই সে আশা উবে যায়। ছাত্রাবস্থায় কপালগুণে সরকারি একটা চাকরি পেয়ে যাই - প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতার। প্রায় নয় বছর যাবত এই পেশাতেই আছি; থাকতে হবে আজীবন। সাংসারিক জীবনে আমি দুই সন্তানের জনক। আমার স্ত্রীও প্রাইমারি স্কুলে চাকরি করেন। আমার অবসর সময় কাটে গল্পের বই পড়ে; সুযোগ পেলে টিভিতে ‘মটু পাতলু’ দেখি। টুকটাক লেখালেখি করি। কিছু স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন পত্রিকায় একসময় লিখতাম; এখন রহস্যপত্রিকা ছাড়া আর কোথাও লিখি না। ওখানে অনিয়মিতভাবে আমার লেখা ছাপা হয়। ২০১৮ সালের বইমেলায় ‘নরাধম’ নামে আমার একটা গল্পের বই প্রকাশিত হয়েছে। ‘শেষ পর্বের শুরু’ আমার দ্বিতীয় গ্রন্থ ও প্রথম উপন্যাস।