পরাণ ডোমের পোস্টমর্টেম –ফ্ল্যাপে লেখা কথা পরাণ ডোমের পোস্টমর্টেম’ একটি রহস্য-মনোস্তাত্ত্বিক ঘরানার গল্পগ্রন্থ। এতে রহস্য, মনস্তত্ত্ব, পরাবাস্তব-অধিবাস্তব, সমসাময়িক ঘরানার মোট দশটি গল্প রয়েছে। পরাণ ডোম একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দক্ষ ডোম। মৃত্যু তার কাছে ছেলেখেলা! পিছুটান বলে কিছু নেই তার জীবনে। কিন্তু পরাণ ডোম ফরেনসিক মেডিসিনের ডাক্তার স্নেহার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। অফিসার্স কোয়ার্টারে একা একা থাকেন ডাক্তার স্নেহা। মোহগ্রস্থ পরাণ ডোম ডাক্তার স্নেহার প্রতিটি পদক্ষেপ সন্তর্পণে অনুসরণ করে তার অজান্তে! আসলে কী চায় পরাণ ডোম? মা-বাবার মাঝখানে প্রতিদিন ঝগড়া করা এখন রোজকার নিয়ম হয়ে গেছে! সারাক্ষণ তাই মন খারাপ থাকে জ্যোতির। তার কোনো বন্ধু নেই। এমন একদিন আচমকা কোথায় থেকে একটা ছেলে এসে হাজির হয় তার সামনে! দুইজনে খুব ভালো বন্ধু হয়ে যায় ওরা। জ্যোতির সেই বন্ধুর একটা অদ্ভুত ক্ষমতা আছে। জ্যোতির মনের মধ্যে কি চলছে, সব কিছু কিভাবে যেন জেনে ফেলে তার বন্ধু! অথচ নিজের সম্পর্কে কিছুই বলে না জ্যোতিকে। জ্যোতির বন্ধু আসলে কে? কোথা থেকে এসেছে সে? জ্যোতি ছাড়া আর কেউ কেনো দেখতে পায় না তার বন্ধুকে? তরী আর শৌনক- আপাত দৃষ্টিতে খুব সুখী দম্পতি! তরীর সৌন্দর্যে অবসেসড শৌনক কেনো খুন করার পরিকল্পনা করে তার স্ত্রীকে? কোন ভয়ানক অতীত তাকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায় প্রতিনিয়ত? নিজের স্ত্রীকে ক্রমাগত প্রতারণা করে যাওয়া ইশতিয়াক কি ভুল বুঝতে পেরেছিলো? ফিরে এসেছিলো তার জন্য নিজের সর্বস্ব উজাড় করে দেওয়া স্ত্রীর কাছে? বিশ্বাস রাখুন, দশটি গল্প নিয়ে সাজানো ‘পরাণ ডোমের পোস্টমর্টেম’ আপনাকে একটি উত্তেজনাময় রাইড উপহার দেবে!
জন্ম বাংলাদেশের যশোর জেলার অভয়নগর থানার ভবানীপুর গ্রামে গত শতকের নয়ের দশকের প্রথমার্ধে। পিতা নিখিল চন্দ্র আর মাতা সাগরিকা রানী। শৈশবে সপরিবারে পাড়ি জমিয়েছিলেন ভীন গায়ে। সেই থেকে ছুটে চলার শুরু। কখনও জীবনের তাগিদে, কখনও জীবিকার তাগিদে। আর এই ছুটে চলার বিশ্বস্ত সঙ্গী তাঁর লেখালেখি। কর্মজীবনে চিকিৎসা শাস্ত্রে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। প্রথম প্রেম কবিতা হলেও দীর্ঘদিন ধরে লেখালেখি করছেন স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান, ইতিহাস আর প্রত্নতত্ত্ব নিয়ে। প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ মনস্তাত্ত্বিক গল্প সংকলন- 'পরাণ ডোমের পোস্টমর্টেম', ২০১৯, ঢাকা। বাঙালির প্রত্নদর্শন - রাজা ভরতের বৌদ্ধবিহার থেকে কবিগুরুর