নিখোঁজ আলোর শহর –ফ্ল্যাপে লেখা কথা আমি বিড়বিড় করে বলি, 'মোহরানা আড়াই লাখ। অত টাকা কেমন করে পাব?' ভাইয়া খেঁকিয়ে ওঠে, 'তো আমি কী করব? মোহরানা কি আমাকে জিজ্ঞেস করে ধরেছিলি? নিজে ধরেছিস, নিজে শোধ দে!' আমার খুব রাগ উঠে যায়, বলি, 'বিয়ে করেছি কি ছেড়ে দেব বলে?' তারপর.... 'নিখোঁজ আলোর শহর' আটটি জীবনঘেঁষা গল্পের সংকলন৷ নাগরিক জীবন, কৈশোরের চঞ্চলতা, পারিবারিক বন্ধন, স্বার্থান্ধ মানুষের দ্বিমুখি আচরণের গল্পগুলো স্থান পেয়েছে এই সংকলনে৷ পাশাপাশি আছে মানবিক আচরণ এবং মনস্তত্ত্বের উঠানামার গল্প৷ 'নিখোঁজ আলোর শহর' জীবনের গল্প বলেছে, বলেছে সামাজিক মানুষের দুঃখবেদনার গল্প৷ গল্পগুলো ভুল করার, গল্পগুলো ভুল থেকে আলো খুঁজে পাওয়ারও৷ ‘নিখোঁজ আলোর শহরে’ তাই কেউ কেউ তলিয়ে গেছে অন্ধকারের পঙ্কিলতায়, আবার কেউ 'নিখোঁজ' সেই আলোর অন্বেষণে পাড়ি দিয়েছে পথ, খুঁজে পেয়েছে ঝকঝকে দিনের আলো৷ এইসব মিলিয়ে ভিন্নরকম স্বাদের ভিন্নরকম কিছু গল্পের সংকলন 'নিখোঁজ আলোর শহর'৷ পাঠক তাই কোনো গল্প পড়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলবেন কারো জন্য, আবার কোনো গল্প পড়ে একাত্ন হবেন সেই গল্পের কোনো চরিত্রের আনন্দে এবং প্রাপ্তিতে৷ গল্পগুলির কোনো না কোনো চরিত্রের মাঝে নিজেকে ঠিকই খুঁজে পাবেন, পাবেন পরিচিত অনুভূতির আস্বাদও.....
সাদিয়া সালসাবিলার পৈতৃক নিবাস ঢাকায়৷ সেই সূত্রেই জন্ম এবং বেড়ে ওঠাও ঢাকায়৷ শিক্ষক বাবা এবং গৃহিণী মায়ের একমাত্র এই সন্তান পড়ালেখা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগ থেকে৷ সদ্য বিবিএ এবং এমবিএ করা তরুণ এই লেখকের অবসরের প্রিয় কাজ হলো বাবা-মায়ের সাথে গল্প করা এবং নাশিদ শোনা৷ 'নিখোঁজ আলোর শহর' তার প্রকাশিত প্রথম বই৷ এবং বই পড়াটাকে একটা সময় অভিহিত করতেন ভালোবাসা হিসেবে, এখন সেই ভালোবাসা রূপ বদলে পরিণত হয়েছে নেশায়৷ একটা জীবন নির্বিঘ্নে কেটে যাবে বইয়ের সাথে—এই প্রার্থনা তার সবসময়ের৷