গ্রন্থটির বৈশিষ্ট্য কেন পড়বেন বইটি? প্রতিটি প্রাণেরই মৃত্যু আছে। মৃত্যুর পর তার । বিচার-ফায়সালা হবে। এ বিশ্বাস একজন। মানুষকে পাপ থেকে মুক্ত রাখতে পারে। পাপ থেকে মুক্ত থাকা এবং ইবাদাতে একনিষ্ঠতা অর্জনে পরকাল সম্পর্কে সঠিক ধারণার প্রয়ােজন। এ বইয়ে পরকালীন জীবনের একটি ক্রমধারায় আলােচনা করা হয়েছে, তাহলাে- মৃত্যুবারযাখী জীবন কিয়ামতপুনরুত্থান—হাশর⇒শেষ বিচারের দিনহাউজ (পানির কূপ) আমলনামা বণ্টন→মিযান (দাঁড়িপাল্লা)⇒শাফায়াত⇒পুলসিরাত জান্নাত/জাহান্নামশুমৃত্যুকে জবাই (চিরস্থায়ী জান্নাত/চিরস্থায়ী জাহান্নাম)। গ্রন্থটিতে পরকালীন জীবনের বিষয়াদির সংজ্ঞায়ন, বৈশিষ্ট্য এবং বিবরণ কুরআন ও সহীহ হাদিসের আলােকে উপস্থাপন করা হয়েছে। লেখক পরকালীন বিষয়াদি নিয়ে সমাজে প্রচলিত বিভিন্ন প্রশ্নের অবতারণা করে উত্তর দিয়েছেন? যেমননারীদের অধিকাংশই কী জান্নাতী না । জাহান্নামী? জান্নাতে কী কোনাে বৃদ্ধ যাবে না। হাশরের মাঠ, কবরের জীবন, কিয়ামতের ভয়াবহতা ইত্যাদির স্বচিত্র কুরআন ও হাদিসের আলােকে তুলে ধরেছেন। যেমন- হাশরের মাঠের দৈর্ঘ্য কত? পুলসিরাত দেখতে কেমন? জাহান্নামে প্রবেশ করেও কি কেউ জান্নাতে যাবে? ‘পরকাল’ শিরােনামের এ বইটি তথ্যবহুল, হৃদয়গ্রাহী, সন্দেহের অপনােদনকারী, বিভ্রান্তীর জবাব; সর্বোপরী আমাদের পরকালীন মুক্তির পাথেয়।
জন্ম ১৯৭০ সালের ১৬ জুলাই। ইসলামের বিখ্যাত সেনাপতি খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রা) এর বংশধর তিনি। মাত্র ৫০ বছর বয়সেই হয়ে উঠেছেন আরব জাহানের বিশিষ্ট বক্তা এবং লেখক। তিনি তার বক্তৃতা এবং লেখনীর মাধ্যমে আরবসহ পশ্চিমা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। হ্যাঁ! আমরা আর কারো কথা বলছি না, বলছি ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফীর কথা। দাম্মামে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করার পর সৌদি আরবের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করেন তিনি এবং রিয়াদের বাদশাহ সৌদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জন করেছেন পিএইচডি ডিগ্রি। বিখ্যাত হাদীস বিশারদ শায়খ মুহাম্মদ ইবনে ইসমাইল, শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনে কুউদ, শায়খ আব্দুর রহমান ইবনে নাসের আল-বাররাক প্রমুখ ব্যক্তিবর্গকে শিক্ষক হিসেবে পেয়েছেন মুহাম্মদ আরিফী। প্রায় পনেরো-ষোলো বছর ইবনে বায রহ. এর সাথে থাকার সৌভাগ্য হয় তার। তার জীবনের মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর দাওয়াত দেওয়া। তাকে অনেক সময় ""দাওয়াত ইল্লাল্লাহ"" বলেও সম্বোধন করা হয়। তার বিভিন্ন স্থানে বক্তৃতা করার মূল কারণও এটি। বাজারে তার বক্তৃতায় অডিও-ভিডিও ক্যাসেট পাওয়া যায় যার দ্বারা উপকৃত হচ্ছে পুরো মুসলিম বিশ্ব। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী বই রচনা করে চলেছেন মানবজাতির কল্যাণার্থে। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী এর বই সমূহ প্রত্যেকটি বিক্রির সময় একটি আরেকটিকে ছাড়িয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী এর বই সমগ্র হলো ভার্সিটির ক্যান্টিনে, সুখময় জীবন উপভোগ করুন, তুমি সেই নারী, নবী-চরিত্রের আলোকে: জীবন উপভোগ করুন, রাগ করবেন না: হাত বাড়ালেই জান্নাত, কিতাবুল ফিতান, রোজা ও হজ্জের পয়গাম, নারী যখন রানী, তোমাকে বলছি হে বোন, আপনার যা জানতে হবে, রামাদান আল্লাহ’র সাথে সম্পর্ক করুন, যেভাবে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকবেন ইত্যাদি।