"গ্রিসের পৌরাণিক কাহিনী" বইয়ের পেছনের কভারে লেখা:গ্রিসের অমর পৌরাণিক কাহিনী একালের শেষ অলিম্পিক খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০০৪ সালে। এ খেলা দেখতে দেখতে তােমরা কিন্তু গ্রিস দেশ ছুঁয়ে এসেছ দু’ভাবে। প্রথমত, এই গ্রিস দেশেই অলিম্পিক খেলার সূচনা; তাই প্রতি অলিম্পিক খেলাতেই গ্রিসের কথা স্মরণ করতে হয়। আর এবারের অলিম্পিক খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে এই গ্রিস দেশের অলিম্পাস পর্বতের পাদদেশে যে অলিম্পাস থেকেই এ খেলার নামকরণ । সেকালের গ্রিকদের সকল ধর্মীয় অনুভূতির কেন্দ্রবিন্দু ছিল এই অলিম্পাস পর্বত। তারা মনে করত অলিম্পাসের চূড়াতেই বাস করেন তাদের দেবতারা । মহাশক্তিশালী, মেঘচালনাকারী, জলধারা উন্মুক্তকারী দেবরাজ জিউস বজ্রের আগুনে বিশ্বচরাচরকে নিয়ন্ত্রণে রাখেন। তাঁর এক ভাই সমুদ্রদেব নেপচুন সকল জলরাশি ও আর এক ভাই দুটো পাতালপুরীর রাজা জুপিটারের কন্যা ভুবনমােহিনী রূপ নিয়ে সমুদ্রের ফেনা থেকে উঠে আসা ভিনাস সৌন্দর্য ও ভালােবাসার দেবী মিনার্ভা জ্ঞান ও যুদ্ধবিদ্যার দেবী। সূর্যদেব এপােলাে ও চন্দ্রদেবী ডায়ানা দুই ভাইবােন। ভবিষ্যতের জ্ঞানসম্পন্ন টাইটান প্রমিথিউস,। প্রতিশােধের দেবী নেমেসিস। চারণভূমির দেবতা প্যান, শিল্পসাহিত্যের অধিষ্ঠাত্রী দেবী মিউজ, যারা সংখ্যায় ন’জন। এদের কারাে কারাে সঙ্গে তােমাদের পরিচয় নিশ্চয়ই আগেই হয়েছে। এদের নিয়ে নানা কল্পকাহিনী সারা বিশ্বসাহিত্যে ছড়িয়ে রয়েছে। প্যানডােরার কৌটো, একো আর নারসিসাস, আটালান্টার দৌড়, কিউপিড ও সাইকি, অর্ফিউস ও ইউরিডিসি প্রভৃতি গল্প না পড়লেই নয় এগুলাে যেমন মনােমুগ্ধকর, তেমনি গভীর তাৎপর্যপূর্ণ।